Friday, December 5, 2025

আলোচিত সুদর্শন হত্যা মামলায় মা-ছেলের যাবজ্জীবন

খুলনা প্রতিনিধি: খুলনার ডুমু‌রিয়ায় আলোচিত কলেজছাত্র সুদর্শন রায় হত্যা মামলায় মা-ছেলের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। এ মামলায় বিপুল বিশ্বাস নামে একজনকে খালাস দেয়া হয়েছে। রোববার দুপুরে খুলনার অতিরিক্ত দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক মো. ইয়ারব হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, ডুমুরিয়ার বিপুল বিশ্বাসের স্ত্রী দ্রৌপদী বিশ্বাস ও তার ছেলে কংকন বিশ্বাস।

আদালত সূত্রে জানা যায়, তাদের মধ্যে দ্রৌপদী বিশ্বাসকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের সঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ৩ মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। এছাড়া অপর আসামি কংকন বিশ্বাসকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের সঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। আর বিপুল বিশ্বাসকে মামলার রায় থেকে খালাস দেয়া হয়। এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের কৌশুলী ছিলেন এম ইলিয়াস হোসেন। আর আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন সন্দীপ কুমার দাশ।

মামলার বাদী দীনবন্ধু মণ্ডল এজাহারে উল্লেখ করেন, বটিয়াঘাটার সুকুমার রায়ের ছেলে সুদর্শন রায় ছোট থেকেই তার মামা দীনবন্ধু মণ্ডলের বাড়ি ডুমুরিয়ার বড়ডাঙ্গা এলাকায় বসবাস করতেন। ২০২০ সালে আন্তর্জাতিক মার্তৃভাষা দিবস উপলক্ষে শহীদ মিনারে ফুল দেয়ার কথা বলে সুদর্শন রায় বাড়ি থেকে বের হয় রাত সাড়ে ১১টার দিকে। ২০ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে ডুমুরিয়া মির্জাপুর তিন রাস্তার মোড়ে কালভাটের অদূরে স্থানীয় তুহিন বিশ্বাসের সঙ্গে সুদর্শনের কথাবার্তা হয়। এরপর তিনি একা একা মির্জাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দিকে রওনা হন। সেখানে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আসামিরা সুদর্শনকে তাদের বাড়িতে ডেকে নিয়ে যান এবং পরস্পর যোগসাজসে তাকে হত্যা করেন।

এজাহারে দীনবন্ধু আরো উল্লেখ করেন, আসামিরা আমার ভাগ্নে সুদর্শনকে হত্যার পর মরদেহ গুম করার উদ্দেশ্যে নৌকাযোগে ডুমুরিয়ার মির্জাপুর গ্রামের দক্ষিণ খালের উত্তর পাশে ফেলে রাখে। ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৬টার দিকে স্থানীয়রা মরদেহ দেখে সংবাদ দেয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে সুদর্শনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন ছিল। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। এ ঘটনায় সুদর্শন রায়ের মামা দীনবন্ধু মণ্ডল বাদী হয়ে ২০২০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ডুমুরিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।

দীনবন্ধু মণ্ডল বলেন, রায়ে দ্রৌপদী বিশ্বাস ও তার ছেলে কংকন বিশ্বাসের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। আদালতের রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। তবে ফাঁসির প্রত্যাশা করেছিলাম।

আরো পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

এই বিভাগের আরো খবর