মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি : মণিরামপুরে মুকুল হোসেন (৩২) নামে এক যুবককে খুনের অভিযোগে পুলিশ পাঁচজনকে আটক করেছে।
এরা হলেন শিরিলি মদনপুর গ্রামের মোন্তাজ আলীর ছেলে টিপু সুলতান (২৮), ওই গ্রামের ইনতাজ আলীর দুই ছেলে দিপু হোসেন (৩০) ও রায়হান হোসেন (২০), উপজেলার কাশিপুর গ্রামের মহিদুল ইসলামের দুই ছেলে আসাদুল ইসলাম (২৬) ও সাজেদুল ইসলাম (২০)। আসাদুল ও সাজেদুল সম্পর্কে টিপুর শ্যালক।
মুকুলকে শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) রাত দশটার দিকে উপজেলার শিরিলি মদনপুর এলাকায় দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে হত্যা করে। তিনি ওই এলাকার আমিন মোড়লের ছেলে। তিনি মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলেন। তার নামে মণিরামপুর থানায় অস্ত্র ও মাদক আইনে আটটি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহতের স্ত্রী লায়লা খাতুন বলেন, ‘আগে মাদকের কারবার করলেও দুই বছর আগে সব ছেড়ে দেন আমার স্বামী। এরপর তিনি ঘেরের ব্যবসা ধরেন। মাঝেমধ্যে যশোর শহরে রডের কাজ করতেন। শুক্রবার রাতে তিনি সাড়াপোল বাজারে ছিলেন। তখন ইনতাজ আলীর স্ত্রী মাজেদা মোবাইল ফোনে তাদের বাড়িতে ডেকে নেন তাকে। এরপর তাকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে খুন করে তারা।’
এদিকে, মুকুল হত্যার ঘটনায় নিহতের বাবা আমিন মোড়ল বাদী হয়ে ছয়জনকে আসামি করে মণিরামপুর থানায় মামলা করেছেন। আসামিরা হলেন, শিরিলি মদনপুর গ্রামের মোন্তাজ আলী, তার ছেলে টিপু সুলতান, মোন্তাজের চার ভাইপো দিপু হোসেন, রায়হান হোসেন, সাদেক আলী ও রাশেদ হোসেন। এদেরমধ্যে টিপু, দিপু ও রায়হান পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
পুলিশ জানায়, একটি সাইকেল চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে ৩-৪ দিন আগে শিরিলি মদনপুর গ্রামের পশ্চিমপাড়ার মোন্তাজকে মারপিট করে মুকুল। শুক্রবার রাতে মোন্তাজের বাড়ির পাশে নিজের ঘেরে যায় সে। ওই সময় মোন্তাজের ছেলে টিপুর চোখে টর্চ লাইট মারে মুকুল। তখন বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে টিপুর মা এগিয়ে এলে তার গালে চড় মারে মুকুল। এরপর মোন্তাজ আলীসহ বাড়ির অন্যদের সাথে ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে খুন হয় মুকুল। ওইসময় টিপু ও দিপু আহত হয়। পরে স্বজনরা মুকুলকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মুকুলকে মৃত ঘোষণা করেন।
মণিরামপুর থানার এসআই জিয়াউল হক বলেন, ছয়জনকে আসামি করে মামলা করেছেন নিহতের বাবা। তিনজন গ্রেফতার আছে। বাকি দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়েছে।
মণিরামপুরে যুবক খুনের ঘটনায় পাঁচজন আটক







