
যশোর শহরতলির ঝুমঝুমপুরে বিএডিসি উদ্যান উন্নয়ন কেন্দ্রের ভেতরের রাস্তা নির্মাণ কাজে নানা ধরনের অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। কাজে এক নম্বর ইট ব্যবহারের কথা থাকলেও দেয়া হচ্ছে নিম্নমানের ইট। সিডিউলে পিকেট ইটের খোঁয়া ব্যবহারের কথা থাকলেও আমা ইটের খোঁয়া দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। কেবল তাই না, ফাঁকি দেয়া হচ্ছে সিমেন্টেও। তবে এসব বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন। এক নেতার নাম ভাঙ্গিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে নির্মাণ কাজ। যেনতেন কাজ দ্রুত বন্ধের দাবি জানিয়েছেন বিএডিসির কর্মকর্তারা।ঝুমঝুমপুরের উদ্যান উন্নয়ন কেন্দ্রের কর্মকর্তারা জানান, প্রথম ধাপে নয়শ’৪০ মিটার রাস্তা নির্মাণে ঢালাইয়ের কাজ শুরু হয়েছে। কাজের শর্তের মধ্যে সর্বপ্রথম একফুট বালির (০.৮৫ এফ এম) ফিলিং থাকতে হবে। এরপর করতে হবে ফ্ল্যাট সলিং। সেখানে এক নম্বর ইট দিতে হবে। তারপর ছয় ইঞ্চি সিসি ঢালাই করার কথা। এ কাজে খোঁয়া হতে হবে পিকেটের।
বুধবার বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, জোরেসোরে ঢা

লাইয়ের কাজ চলছে। অথচ মানা হচ্ছে না সিডিউলের বাধ্যবাধকতা। এক ফুট বালির ফিলিংয়ের পরিবর্তে দেয়া হচ্ছে সর্বোচ্চ ছয়-সাত ইঞ্চি। এরপর বসানো হচ্ছে সবচেয়ে নিম্নমানের ইট। পাঁচ ইঞ্চি ঢালাই করা হচ্ছে। আবার কোথাও কোথাও সাড়ে চার ইঞ্চি ঢালাইও চোখে পড়েছে। ঢালাই কাজে ব্যবহার করতে দেখা যায় খোঁয়ার বদলে চিপস। যতটুকু খোঁয়া চোখে পড়ে তার বেশিরভাগই আমা ইটের। তবে ওয়ার্ক শিটে উল্লেখ করা হয় এক নম্বর পিকেট ইটের খোঁয়া ব্যবহার করতে হবে। এসব বিষয়ে জানতে ঠিকাদার ও ইঞ্জিনিয়ারের কাছে জানতে এগিয়ে গেলে তারা তাড়াহুড়ো করে সটকে পড়েন। এ বিষয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার পরিচয় দেয়া তানিম আহম্মেদের সাথে সন্ধ্যায় মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনি বলেন,‘একটু পরে আপনার সাথে কথা বলছি।’ এরপর তিনি আর কল রিসিভ করেননি। সর্বশেষ, রাত সাড়ে আটটার সময় ফোন করলে কথা বলতে পারবেননা বলে জানান। তিনি একজন নেতার নাম উল্লেখ করে তাকে ফোন করতে বলেন।
এ বিষয়ে কথা হয় বিএডিসির যুগ্ম পরিচালক (বীজ বিপণন) একেএম কামরুজ্জামানের সাথে। তিনি বলেন,নির্মাণ কাজে নিম্নমানের কাঁচামাল ব্যবহারের অভিযোগ তাদের কাছে এসেছে। তিনি নিজেই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে আসেন। অনিয়মের প্রমাণ পেলে কাজ বন্ধ করা হবে বলে জানান তিনি।
বিশেষ প্রতিনিধি







