খুলনা প্রতিনিধি :সুন্দরবনে তিনজন জেলের ওপর বাঘের আক্রমণ খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবারের এই ঘটনায় এক জেলে জীবিত অবস্থায় ফিরে এসেছেন বলে জানা গেছে। তবে এখন পর্যন্ত বাকি দুইজনের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
জীবিত বাড়িতে ফেরা ওই জেলে আবু মুসা সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কৈখালীর পশ্চিম কৈখালী গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে। রোববার দুপুর ১২টার দিকে সীমান্তের মাওন্দি নদী পার হয়ে তিনি শ্যামনগরের কৈখালী ফরেস্ট স্টেশন এলাকা দিয়ে বাড়িতে ফেরেন।অপর দুই জেলে হলেন, পশ্চিম কৈখালী গ্রামের কফিলউদ্দিনের ছেলে রতন এবং ওই গ্রামের মনো মিস্ত্রীর ছেলে মিজানুর রহমান।কৈখালীর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম জানান, দুপুর ১২টার দিকে সীমান্তের মাওন্দি নদী দিয়ে মৎস্যজীবী আবু মুসাকে ভারত থেকে দেশে ফিরিয়ে এনেছেন এলাকাবাসী। কৈখালী ফরেস্ট স্টেশন এলাকার পাশ দিয়ে মাওন্দি দিয়ে তাকে ফিরিয়ে আনা হয়। স্থানীয় বাসিন্দা লতিফ, আরিজুল, আরশ খানসহ ৪-৫ জন তাদের একটি নৌকায় এলাকায় নিয়ে আসেন।তিনি বলেন, অপর দুই জেলে রতন ও মিজানুর রহমানের কোনো হদিস এখনো মেলেনি। তারা জীবিত ফিরবেন এমন কোনো আশাও মিলছে না।তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে দুই মৎস্যজীবীর ওপর বাঘ আক্রমণ করে। নৌকায় করে প্রাণে রক্ষা পান আবু মুসা। পরবর্তীতে আবু মুসা কৈখালী সিমান্তের বিপরীতে ভারতের মধ্যে পুল্লাদ নামের এক ভারতীয় কাছে আশ্রিত ছিলেন দুই দিন।
কৈখালী ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল ইসলাম বলেন, বিজিবির সিওর মাধ্যমে ভারতীয় বিএসএফ কর্মকর্তাদের সঙ্গে অনেক যোগাযোগ করেছিলাম। তবে বাঘের আক্রমণে নিহত দুই জেলের মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। ঘটনা তিনদিন গড়িয়েছে, আর সম্ভবনা নেই এমনই মনে হচ্ছে। জীবিত থাকা আবু মুসা ভারতীয় যে বাসিন্দার কাছে ছিলেন তিনি নৌকায় করে আমাদের দেশের মধ্যে পাঠিয়ে দিয়েছেন।তবে নীলডুমুর ১৭ বিজিবির সিও ইয়াছিন চৌধুরী জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পশ্চিম সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের বিপরীতে ভারতীয় অংশে পাইজুরি খালে দুই জেলে বাঘের আক্রমণে নিহত হন। জীবিত থাকা আবু মুসার মাধ্যমে ঘটনাটি জানা গেছে।মরদেহটি দুটি উদ্ধারের জন্য বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তারা উদ্ধারের চেষ্টা করছেন তবে এখনও মরদেহ দুটির কোনো সন্ধান মেলেনি। স্থানটি দুর্গম হওয়ায় উদ্ধার কাজ অসম্ভব হয়ে পড়েছে।







