মনিরামপুর প্রতিনিধি:মনিরামপুরের পল্লীতে দুই সন্তানের জননী পারভীন সুলতানা (২৬) মৃত্যুর ঘটনায় থানায় আত্ম হত্যার প্ররোচনা মামলা হয়েছে। রোববার রাতে নিহতের পিতা শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে স্বামী পক্ষের ৪ জনের নামে এ মামলা দায়ের করেন। তারা হলেন গালদা গ্রামের হানেফ সরদারের ছেলে আহাদ আলী সরদার, মৃত. নুর আলী সরদারের ছেলে আলিম, আলিম সরদারের ছেলে সুজন ও আলিমের স্ত্রী সুকজান বেগম। এ ঘটনায় মামলার প্রধান আসামী আহাদ আলী সরদারকে পুলিশ আটক করে সোমবার সকালে তাকে আদালতে প্রেরণ করেছেন।
স্থানীয় ও পুলিশ জানায়, গৃহবধু পারভীনের সাথে গালদা গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী আজিজুর রহমানের ১৩ বছর আগে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ৯ ও ৬ বছর বয়সী দু’ ছেলে মেয়ে রয়েছে। পারভীনের স্বামী আজিজুর দীর্ঘদিন মালয়েশিয়া থাকেন। তিনি প্রতি মাসে বিদেশ থেকে স্ত্রীর জন্য টাকা পাঠাতেন। কিন্ত সেই টাকা পারভীনকে না দিয়ে ভাসুর আলিম ও তার স্ত্রী সুকজান বেগম আত্মসাত করতেন।
এ বিরোধের জের ধরে শনিবার রাতে ভাসুর আলিম, তার স্ত্রী সুকজান ও ছেলে সুজন কু-মতলোব করে আহাদ আলী অপর একজনকে দিয়ে পারভীনের নামে খারাপ অপ্রচার চালিয়ে তারা বেধড়ক মারপিট করে। এরপর ওই রাতেই গৃহবধু পারভীন কীটনাশক পান করে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার চালায়। এরপর পারভীনকে উদ্ধার করে যশোর মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরী ভিভাগের দায়িত্বরত ডাক্তার তাকে মৃত. ঘোষনা করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মনিরামপুর থানার এসআই দীপক কুমার দত্ত জানান, এ ঘটনায় থানায় ৩০৬ ধারায় আত্মহত্যা প্ররোচনা একটি মামলা হয়েছে, যার নং-১২। এ ঘটনায় আহাদ আলী নামে একজনকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলার অন্যান্য আসামীদের আটকের জোর চেষ্টা অব্যহত রয়েছে।







