মাগুরা জেলার উপজেলার ছান্দরা গ্রামে কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ধর্ষণ চেষ্টা ও ব্যর্থ হয়ে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে বেধড়ক মারপিট করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৪ জানুয়ারি। মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হলে প্রথমে তাকে শালিখা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ভিকটিমের বোন জানান, বোনের শ্বশুড় বাড়ির পাশেই একেন মোল্যার ছেলে হাফিজুর রহমান মুদি ব্যবসা করে। স্বামী চার বছর ধরে মালয়েশিয়া থাকেন। বিদেশ যাওয়ার পর থেকেই হাফিজুর মিতালীকে কু প্রস্তাব দিতো। রাত নেই দিন নেই মুদি দোকানের বিভিন্ন মালামাল নিয়ে হাজির হতেন। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার হাফিজুরকে মানা করলেও তিনি শুনতেন না। স্থানীয় একটি সন্ত্রাসী চক্রের সাথে হাফিজুরের আতাঁত থাকায় বিভিন্ন ধরণের হুমকি ধামকিও দিতেন সে। তবুও সবকিছু মুখ বুঝে সহ্য করতেন তার বোন। সর্বশেষ গত ১৪ জানুয়ারি দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে বোনের বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগ নিয়ে হাফিজুর আচমকা প্রবেশ করে। বোনকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। চিৎকার দিলে মারপিট শুরু করে। শেষ মেষ মাথায় আঘাত করলে অচেতন হয়ে পরে সে। পরে আশপাশের লোকজন আসলে হাফিজুর পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু ব্যর্থ হয়ে একই এলাকার মৃত খালেক মোল্যার ছেলে মুক্তার, আক্তার ও হাসানকে ডেকে আনে। এরপর আরো ভয়নক হয়ে উঠে তারা। সকলে মিলে তার বোনকে মারতে শুরু করে। বুকের উপর দাবাতে থাকে আক্তার। এরপর চলে যাওয়ার সময় বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে হত্যার হুমকি দিয়ে যায়। পরে তারবোনকে নিয়ে শালিখা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এরপর অবস্থার অবনতি হলে তাকে ১৫ জানুয়ারি যশোরে পাঠিয়ে দেন।
গৃহবধুর দেবর ও ননদ জানান, তার ভাবীকে হাফিজুর উত্যাক্ত করতেন। এ বিষয়ে তার ভাই কয়েকবার হাফিজুরের সাথে কথা বলে সতর্ক হতে বলেছেন। কিন্তু হাফিজুর আরো ক্ষিপ্ত হয়ে এ ঘটনা ঘটান।
যশোর সদর হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স ডি.দাস ১৬ জানুয়ারি বিকেলে জানান, গৃহবধু মাথায় প্রচন্ড আঘাত করা হয়েছে। মাঝে মাঝেই বমি করছেন। ওষুধ চলছে। তার মাথায় সিটি স্ক্যান করতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত হাফিজুরের সাথে কথা বলার চেষ্টা করলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তবে, আরেক অভিযুক্ত মুক্তার বলেন, সে নিজে হাসপাতালে যেয়ে ওই গৃহবধুকে দেখে এসেছেন। মারপিট করা হয়েছে কিন্তু তার সাথে তিনি জড়িত নয় বলে দাবি করেন মুক্তার। কেন মারপিট করা হয়েছে এমন প্রশ্নের উত্তর তিনি এড়িয়ে যান।
এ বিষয়ে শালিখা থানার ইনচার্জ ওসি তরিকুল ইসলাম জানান, ১৪ তারিখে তিনি ছুটিতে ছিলেন। এ বিষয়ে মৌখিক ভাবে অভিযোগ আসতে পারে তবে লিখিত ভাবে কোনো অভিযোগ তিনি পাননি। অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নিবেন বলে তিনি জানান।
রাতদিন সংবাদ







