Saturday, December 6, 2025

মুন্নীর বিপক্ষে যাওয়ায় ছাত্রদলের শীর্ষ দুই নেতাকে তলব করে সতর্ক

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ধানের শীষের মনোনীত প্রার্থী সাবিরা সুলতানা মুন্নীর বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া এবং জনসম্মুখে বিরুদ্ধাচরণের অভিযোগে যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবকে সতর্ক করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। এর আগে তাদেরকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। গত বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ঝিকরগাছা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আশরাফুল আলম রানা এবং সদস্য সচিব শাহিন আলম বিপ্লবকে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, উপজেলা ছাত্রদলের দায়িত্বশীল পদে থেকে আপনারা ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন, যা সুস্পষ্টভাবে সাংগঠনিক শৃঙ্খলাবিরোধী কার্যক্রম। এমতাবস্থায় সংগঠনের পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে কেন স্থায়ী সাংগঠনিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না— সে বিষয়ে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি–সম্পাদকের উপস্থিতিতে সংগঠনের কার্যালয়ে হাজির হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা প্রদান করার নির্দেশ দেওয়া হলো।

স্থানীয় নেতাকর্মীদের তথ্য মতে, যশোর–২ (ঝিকরগাছা–চৌগাছা) আসনে মনোনীত হয়েছেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সাবিরা সুলতানা মুন্নী। দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর থেকেই তিনি ঝিকরগাছা এবং চৌগাছার বিভিন্ন অঞ্চলে ধানের শীষের পক্ষে ভোট চাইতে ছুটে বেড়াচ্ছেন। তবে আসনে প্রার্থী পরিবর্তনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন অন্য মনোনয়নপ্রত্যাশীরা। তাদের সঙ্গে বিভিন্ন স্থানে যোগ দিয়ে মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছেন এবং জনসম্মুখে বিরুদ্ধাচরণ করছেন উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব।

ঝিকরগাছা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আশরাফুল আলম রানা জানান, “শোকজ লেটার পাওয়ার পর শুক্রবার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে দেখা করেছি। তারা স্পষ্ট জানিয়েছেন—ধানের শীষের মনোনীত প্রার্থীর বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। উপজেলা ছাত্রদলকে সাবিরা সুলতানা মুন্নীর পক্ষে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। অন্যথায় সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে,” বলে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

উপজেলা বিএনপির একটি সূত্র জানায়, মুন্নীর বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে প্রার্থী পরিবর্তনের দাবি তুলেছেন দলের একটি অংশ। তারা চান—যশোর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও যশোর চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আলহাজ্ব মিজানুর রহমান খান, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইমরান হাসান সামাদ নিপুন অথবা চৌগাছা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ জহুরুল ইসলামের মধ্যে যে কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হোক। উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব—উভয়েই ইমরান হাসান সামাদ নিপুনের অনুসারী বলে জানা গেছে।

আরো পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

এই বিভাগের আরো খবর