আজম খাঁন , বাঘারপাড়া (যশোর) : যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার কালিগঞ্জ–খাজুরা–রায়পুর–বাঘারপাড়া সড়কের একাধিক স্থানে ধস ও গর্ত সৃষ্টি হয়ে যান চলাচলে চরম ভোগান্তি দেখা দিয়েছে। দূর থেকে সমতল মনে হলেও দেবে যাওয়া অংশে যানবাহন পড়ে বিকট শব্দ সৃষ্টি হচ্ছে। এতে সড়কের দুই পাশে থাকা ঘরবাড়ি কেঁপে ওঠে এবং দেয়ালে ফাটল ধরছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। সড়কজুড়ে দেখা দিয়েছে ছোট-বড় অসংখ্য ফাটল ও ডেবে যাওয়া স্থান।
সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের তথ্যমতে, প্রায় ৪৭ কোটি ৩৮ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়কটির প্রশস্ত ও মজবুতকরণ কাজ শেষ হয় ২০২০ সালের ৩০ জুন। জহুরপুর থেকে বাঘারপাড়া পর্যন্ত ১৯ কিলোমিটার ৩৬৩ মিটার দীর্ঘ ও ৫ দশমিক ৫ মিটার প্রশস্ত এ সড়কের কাজ সম্পন্ন করে যৌথ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এম এম বিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড ও মো. মইনউদ্দিন (বাঁশি)। কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৯ সালের ২৭ মে।
গত শনিবার (১৫ নভেম্বর) সরেজমিনে দেখা যায়, মাঝিয়ালি যাত্রীছাউনি, জহুরপুর বাজারসংলগ্ন বাঁশতলা, খদ্দবনগ্রাম রায়পুর মাঠ এলাকা, ভাতুড়িয়া মোড়, শালবরাট নুর আলীর বাড়ির পাশ, কালীমন্দির এলাকা এবং বিল জলেশ্বর প্রবেশপথসহ অন্তত ১৫-২০ স্থানে সড়ক দেবে গেছে।
চারটি গ্রামের অন্তত আটজন জানান, এলাকার মাটি বেলে হওয়ায় সড়কের স্থায়িত্ব কম। এর ওপর ইটভাটার ট্রাক ও অতিরিক্ত মালবাহী (ওভারলোড) যানবাহনের চাপ সড়কটিকে দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। পদ্মা সেতু চালুর পর এই সড়ক দিয়ে ভারি ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান চলাচল কয়েকগুণ বেড়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে।
খাজুরার নাজমুস সাকিব বলেন, “সড়কের অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছে। অন্তত ২০ জায়গায় ধস নেমেছে, ফাটলও বাড়ছে।”
শালবরাট গ্রামের রিপন দেবনাথ বলেন, “দেবে যাওয়া অংশে গাড়ি উঠলেই বিকট শব্দ হয়। আমাদের ঘরবাড়ি কেঁপে ওঠে, দেয়ালেও ফাটল ধরে।”
সওজ যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া জানান, ক্ষতিগ্রস্ত স্থানগুলো জরিপ করা হয়েছে এবং দ্রুত মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।







