ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ২০১৪ সালে নিহত ইসরায়েলি সেনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট হাদার গোল্ডিনের মরদেহ ১১ বছর পর ইসরায়েলের কাছে হস্তান্তর করেছে হামাস। যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবেই মরদেহ ফেরত দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
২৩ বছর বয়সে রাফাহ এলাকার টহল অভিযানে হামাসের হামলায় নিহত হন গোল্ডিন। তার মরদেহ তখন একটি ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয়। ইসরায়েল সেনাবাহিনী জানায়, দীর্ঘ এক দশক অনুসন্ধানের পর ফেরত পাওয়া মরদেহটি আনুষ্ঠানিকভাবে শনাক্ত করা হয়েছে এবং দ্রুতই তাকে দাফন করা হবে। তিনি বাবা-মা, এক বোন, দুই ভাই এবং এক বাগদত্তা রেখে গেছেন।
চুক্তির প্রথম পর্যায়ে হামাস এখন পর্যন্ত ২০ জন জীবিত জিম্মি এবং ২৮ জন মৃত জিম্মির মধ্যে ২৪ জনের মরদেহ ফিরিয়ে দিয়েছে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজগ জানান, গোল্ডিনের মরদেহ ফেরত পাওয়া তার পরিবারের দীর্ঘ যন্ত্রণার অবসান ঘটাবে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলছে, সব নিহত জিম্মির মরদেহ ফেরত আনতে তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। বর্তমানে গাজায় এখনো চারজন জিম্মি রয়েছে— তিনজন ইসরায়েলি ও একজন থাই নাগরিক।
গোল্ডিন ছিলেন একমাত্র ইসরায়েলি সৈন্য যার মরদেহ ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আক্রমণের আগেই গাজায় আটকে ছিল। তাকে উদ্ধারের প্রচেষ্টায় ইসরায়েল যে তীব্র গোলাবর্ষণ চালায়, তাতে রাফাহ এলাকায় শতাধিক ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছিল।
অনলাইন ডেস্ক/আর কে-০৩







