নড়াইলের কালিয়ায় চাঞ্চল্যকর ব্যবসায়ী কালু হাওলাদার (৪৫) হত্যা মামলার অন্যতম আসামী শাওন ওরফে সোহানকে (৩৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) যশোরের সদস্যরা। ব্যবসায়িক বিরোধের জেরে গত মার্চ মাসে কালু হাওলাদারকে মারপিট করে হত্যার পর তার মরদেহ নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। রোববার দুপুর আড়াইটার দিকে খুলনা জেলার দিঘলিয়া থানার বারাকপুর গ্রাম থেকে শাওনকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।
পিবিআই জানায়, নিহত কালু হাওলাদার খুলনা জেলার লবণচরা থানা এলাকার বাসিন্দা এবং জাহাজের স্ক্র্যাপ ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি আসামী হেলাল শিকদার, রবি মোড়ল, মনিরুল শেখ মনির ও শাওনের সাথে স্ক্র্যাপ ক্রয়-বিক্রয় করতেন। এই ব্যবসাকে কেন্দ্র করেই তাদের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২০ মার্চ রাত আনুমানিক ১১টার দিকে আসামী হেলাল শিকদার ভিকটিম কালু হাওলাদারকে মোবাইল ফোনে কল করে জানান যে, ‘জাহাজ এসেছে, মালামাল কিনতে হবে’। একথা বলে কালু হাওলাদার মালামাল কেনার জন্য টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। পরদিন ভোরে সেহরীর সময় তার মেয়ে ফোন করলে কালু হাওলাদারের মোবাইল বন্ধ পান। ২২ মার্চ খুলনা সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এর একদিন পর ২৩ মার্চ, নড়াইল জেলার কালিয়া থানাধীন বুড়িখালী খেয়াঘাটের নবগঙ্গা নদী থেকে কালু হাওলাদারের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ভিকটিমের মেয়ে রুবিনা খাতুন বাদী হয়ে ২৬ মার্চ কালিয়া থানায় চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৫/৬ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন। যার তদন্ত পায় পিবিআই যশোর। রোববার পিবিআই যশোর জেলার একটি টিম দিঘলিয়ায় অভিযান চালিয়ে শাওনকে গ্রেফতার করে। পিবিআই আরও জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামী শাওন হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।







