নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন লাভ ও ‘শাপলা কলি’ প্রতীক পাওয়ায় রোববার আনন্দ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) যশোর জেলা শাখা। এ কর্মসূচিতে বক্তারা সদ্য সমাপ্ত জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ফলে সৃষ্ট গণতান্ত্রিক রূপান্তরের সম্ভাবনাকে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি আসন্ন সংসদ নির্বাচন জুলাই সনদের ভিত্তিতে অনুষ্ঠানের জোর দাবি জানান।
বিকেল বেলা শহরের ঐতিহাসিক মুনশি মেহেরুল্লাহ (টাউন হল মাঠ) ময়দান থেকে এনসিপি’র আনন্দ মিছিলটি শুরু হয়। শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক দড়াটানা, চিত্রা মোড় ও চৌরাস্তা প্রদক্ষিণ শেষে মিছিলটি প্রেসক্লাব যশোরের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
চৌরাস্তা মোড়ে এক সংক্ষিপ্ত পথসভায় বক্তারা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, এই আন্দোলনের কারণেই দেশে গণতান্ত্রিক রূপান্তরের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। তাঁরা উল্লেখ করেন, ছাত্র-জনতার জীবনদানের বিনিময়ে গুম, খুন, লুণ্ঠন, দুর্নীতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসান সম্ভব হয়েছে।
বক্তারা আরও বলেন, অতীতে অনেক বড় রাজনৈতিক দলের আন্দোলনও ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসান ঘটাতে পারেনি, যা জুলাই আন্দোলন করে দেখিয়েছে। তবে, তাঁরা জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিয়ে জটিলতা সৃষ্টির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
এনসিপি নেতারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, জুলাই সনদে সুপারিশকৃত রাষ্ট্রীয় সংস্কারের বিষয়গুলো বাস্তবায়ন না হলে আবারও দেশে ফ্যাসিবাদ ফিরে আসতে পারে। তাঁদের মতে, বিগত সরকারের ফেলে যাওয়া রাষ্ট্র কাঠামো বহাল থাকলে নতুন ফ্যাসিস্টের জন্ম হবে। এ কারণেই তাঁরা দ্ব্যর্থহীনভাবে ঘোষণা করেন, “সুতরাং আগামী সংসদ নির্বাচন হতে হবে জুলাই সনদের ভিত্তিতে।”
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় সদস্য খালেদ সাইফুল্লাহ জুয়েল, দলের যশোর জেলা সমন্বয় কমিটির যুগ্ম সমন্বয়ক মনিরুজ্জামান আজাদ এবং সদস্য সালমান হাসান রাজিব।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এনসিপি জেলা সমন্বয় কমিটির সদস্য মাসুম বিল্লাহ, আসমা ইসলামসহ সংগঠক আব্দুল মতিন, আসাদুজ্জামান বাবুল, মিজানুর রহমান, জেলা যুবশক্তির যুগ্ম সদস্য সচিব ইবনে সাদ, রূপম আহসান অর্নব, সায়মা সিদ্দিকা, তাহসিন তাইওয়ান, মুখ্য সংগঠক সোহানুর রহমান, সংগঠক আল শিহাদ প্রিয় এবং জেলা ছাত্রশক্তির নেতৃবৃন্দ।







