বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রের পথ সুগম করতে হবে। যদি নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা করা হয়, তার পরিণাম শুভ হবে না বলে । যশোরের গণমানুষের নেতা, সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মরহুম তরিকুল ইসলামের সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার যশোর টাউন হল ময়দানে এক স্মরণসভায় এ কথা বলেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, তরিকুল ইসলাম ছিলেন আজীবন সংগ্রামী, কিংবদন্তিতুল্য নেতা। তিনি মা, মাটি ও
মানুষের জন্য রাজনীতি করেছেন; কখনো অন্যায়-অনিয়মের সঙ্গে আপোষ করেননি। শত নির্যাতন-অত্যাচারের মধ্যেও তিনি আদর্শে অবিচল ছিলেন। ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারের পতনের আন্দোলনে তিনি দীর্ঘদিন সংগ্রাম করেছেন, কিন্তু স্বাধীন ও স্বৈরামুক্ত বাংলাদেশ দেখে যেতে পারেননি। আজকের বাংলাদেশে তাঁর মতো নেতার খুব প্রয়োজন ছিল। তিনি যুগে যুগে বিরলপ্রজ নেতা ছিলেন, যাঁদের জন্ম ঘন ঘন হয় না। তিনি নিজেই ছিলেন একটা ইন্সটিটিউট। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মজলুম নেতা তরিকুল ইসলামের জীবন সম্পর্কিত একটি বই প্রকাশ করার আহবান জানান। তিনি বলেন , তরিকুল ইসলাম মানুষের হৃদয় ছুঁতে পেরেছেন। যিনি দেশকে ভালোবেসে এবং দেশের মানুষকে ভালোবেসে নিজের জীবনকে যেভাবে উৎসর্গ করেছেন তার সেই অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। বিএনপি তাকে আজীবন শ্রদ্ধার সাথে স্বরণ করবে। জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট
সৈয়দ সাবেরুল হক সাবুর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।
মানুষের জন্য রাজনীতি করেছেন; কখনো অন্যায়-অনিয়মের সঙ্গে আপোষ করেননি। শত নির্যাতন-অত্যাচারের মধ্যেও তিনি আদর্শে অবিচল ছিলেন। ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারের পতনের আন্দোলনে তিনি দীর্ঘদিন সংগ্রাম করেছেন, কিন্তু স্বাধীন ও স্বৈরামুক্ত বাংলাদেশ দেখে যেতে পারেননি। আজকের বাংলাদেশে তাঁর মতো নেতার খুব প্রয়োজন ছিল। তিনি যুগে যুগে বিরলপ্রজ নেতা ছিলেন, যাঁদের জন্ম ঘন ঘন হয় না। তিনি নিজেই ছিলেন একটা ইন্সটিটিউট। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মজলুম নেতা তরিকুল ইসলামের জীবন সম্পর্কিত একটি বই প্রকাশ করার আহবান জানান। তিনি বলেন , তরিকুল ইসলাম মানুষের হৃদয় ছুঁতে পেরেছেন। যিনি দেশকে ভালোবেসে এবং দেশের মানুষকে ভালোবেসে নিজের জীবনকে যেভাবে উৎসর্গ করেছেন তার সেই অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। বিএনপি তাকে আজীবন শ্রদ্ধার সাথে স্বরণ করবে। জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট
সৈয়দ সাবেরুল হক সাবুর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ঐক্যমত কমিশনে বিএনপি সহ যেসব রাজনৈতিকদল একমত হয়েছে তা বাস্তবায়ন করুন। স্বাক্ষর করার পরে নতুন নতুন বিষয় সংযুক্ত করার অশুভ চিন্তা কোন ভালো কিছু বয়ে আনবে না । দৃঢ়তার সাথে তিনি বলেন নির্বাচন পিছিয়ে দেয়ার কোন পরিনাম শুভ হবে না । বিএনপি কোন ষড়যন্ত্র চক্রান্তের কাছে আপোষ করবে না। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরও বলেন, নির্বাচনের আগে কোন গণভোট নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা হলে দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। তিনি ডঃ ইউনুস সরকারকে অবিলম্বে গণতন্ত্রের দিকে ফিরে যাওয়ার পথ পরিষ্কার করার আহ্বান জানান। গণতন্ত্রকে আর হরণ করবেন না, জনগণের অধিকারকে নষ্ট করবেন না। বিএনপি স্বাধীনতা -সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বিশ্বাসী। যারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায় এবং কিছু সংখ্যক রাজনৈতিকদল অসত উদ্দেশ্যে একটি গলযোগ সৃষ্টি করার পাঁয়তারা করে তাদেরকে জনগণ ক্ষমা করবে না। অবিলম্বে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করুন। না হলে দেশ ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হবে।
পরিশেষে বিএনপির মহাসচিব মরহুম তরিকুল ইসলামের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং যশোর জেলার পাঁচটি সংসদীয় আসনের প্রাথমিক মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেন। এ সময় তিনি ধানের শীষের পক্ষে ভোট প্রার্থনা করেন।
নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তৃতা করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু, বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তি, কৃষকদলের কেন্দ্রীয় যুগ্নসম্পাদক ইণ্জিনিয়ার টিএস আইয়ুব, ঝিকরগাছা থানা বিএনপির সভাপতি সাবিরা নাজমুল মুন্নী, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য আবুল হোসেন আজাদ, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এড. নজরুল ইসলাম, যশোর বারের সাবেক সভাপতি এড. ইসহক, চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মিজানুর রহমান খান, যশোর নগর বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম চৌধুরী মুল্লুক চাঁদ, কোতয়ালী বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনজারুল হক খোকন, ইমাম পরিষদের সহসভাপতি মাওঃ আব্দুল মান্নান, মিসেস তানিয়া রহমান সুমি, আবুল হাসান জহির, আসাদুজ্জামান মিন্টু, বাবু দীপন্কর দাস রতন,সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোর’র সভাপতি আকরামুজ্জামান, সেলিম রেজা আওলিয়ার, এম তমাল আহমেদ, রাশিদা রহমান, মোস্তফা আমীর ফয়সাল প্রমুখ।
স্মরণ সভার মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক নার্গিস বেগম, খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতসহ জেলার বিভিন্ন থানা বিএনপির সভাপতি-সম্পাদক ও বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এদিকে, বিকাল তিনটার স্মরণ সভাকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই নেতাকর্মীরা টাউন হল মাঠে আসতে থাকে। বিকাল তিনটা বাজতেই কানায় কানায় পরিপূর্ন হয়ে উঠে টাউন হল মাঠ।
রাতদিন সংবাদ






