Saturday, December 6, 2025

মাদক সেবনে বুঁদ হয়ে হত্যা করা হয় শার্শার ভ্যান চালক আব্দুল্লাহকে, তিনজন আটক

প্রথমে ইয়াবা সেবন, এরপর বাংলা মদ পান করে সবাই যখন নেশায় বুঁদ, ঠিক তখনই বেফাঁস কথা বলে ফেলেছিল আব্দুল্লাহ। মুহূর্তেই রেগে যান মুকুল। এছাড়া আধিপত্য বিস্তার নিয়ে পূর্বশত্রুতাও ছিল আব্দুল্লাহর সঙ্গে মুকুলের। তার জেরেই হত্যা করা হয় আব্দুল্লাহকে। পরে সুমনের বাড়ির সাববাক্সে মরদেহ রেখে চলে যান তারা।

শার্শার ভ্যানচালক আব্দুল্লাহর লাশ উদ্ধারের পর এবার হত্যার রহস্য উৎঘাটন করেছে যশোরের ডিবি পুলিশ। আটক করেছে প্রধান অভিযুক্তসহ তিনজনকে । উদ্ধার করা হয়েছে নিহত আব্দুল্লাহর ভ্যান ও হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি।

আটককৃতরা হলেন,  শার্শার যাদবপুর বলিদাদহ গ্রামের মৃত বজলু রহমানের ছেলে মুকুল হোসেন, কাজীরবেড়ের রফিকুল ইসলামের ছেলে আসানুর রহমান আশা এবং নাভারণ যাদবপুরের মৃত আইয়ুব হোসেনের ছেলে সাগর। এর আগে গত মঙ্গলবার সকালে নিখোঁজের চার দিন পর নাভারণ কাজীরবেড় থেকে আব্দুল্লাহর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

ডিবি জানায়, গত ১০ অক্টোবর আব্দুল্লাহ নিখোঁজের পর বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করেন এসআই অলোক কুমার দে সহ একটি টিম। পরে ডিবি ও শার্শা থানা পুলিশের যৌথ টিম আব্দুল্লাহর ভ্যানটি উদ্ধার করে। সেই ভ্যান বিক্রির সঙ্গে জড়িত আসানুরকে খুঁজে বের করা হয়। আসানুরের কাছ থেকে উঠে আসে মুকুল ও সাগরের নাম। তাদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে এক পর্যায়ে আব্দুল্লাহর লাশ উদ্ধার করা হয়।

ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানান, ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন মুকুল নিজেই। এমনকি তিনিই হত্যার নির্দেশ দেন। ১০ অক্টোবর রাত সাড়ে ১১টার দিকে তারা আসানুরের নিয়ন্ত্রণাধীন ওই বাড়িতে প্রবেশ করে। পরে তারা ভরপুর নেশা করে। কিছুক্ষণ পর পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী মুকুল ধারালো ছুরি দিয়ে আব্দুল্লাহকে কোপ দেয়। মাটিতে ফেলে হত্যা করে। এরপর ট্রাংকের ভেতর আব্দুল্লাহর মরদেহ লেপ দিয়ে মুড়িয়ে লুকিয়ে রেখে চলে যায়।

এ বিষয়ে ডিবির অফিসার ইনচার্জ মঞ্জুরুল হক ভুঁইয়া বলেন, ক্লুলেস এ ঘটনার রহস্য উৎঘাটনের পাশাপাশি আসামিদেরও আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে আসানুর বুধবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, মূলত আধিপত্য বিস্তার ও পূর্বশত্রুতার জেরেই হত্যা করা হয়েছে আব্দুল্লাহকে। এর নেপথ্যে অন্য কোনো কারণ আছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

বিশেষ প্রতিনিধি

আরো পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

এই বিভাগের আরো খবর