যশোরের শার্শা উপজেলা থেকে পাঁচ দিন আগে নিখোঁজ হওয়া ভ্যানচালক মাসুদ রানার লাশ উদ্ধার করেছে ঝিকরগাছা থানা পুলিশ। শুক্রবার বিকেলে ঝিকরগাছা উপজেলার বায়সা ও আশিংড়ী গ্রামের মাঝামাঝি আফিল মুরগি ফার্ম সংলগ্ন এলাকায় রবিউল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির নির্মাণাধীন বাড়ির ভেতর থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত মাসুদ রানার বয়স ২১ বছর। তিনি শার্শা উপজেলার বাসিন্দা এবং পেশায় একজন ভ্যানচালক ছিলেন।
পুলিশ জানায়, ঘরের জানালার সঙ্গে দড়ি দিয়ে বাঁধা অবস্থায় লাশটি ঝুলছিল। খবর পেয়ে ঝিকরগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ নুর মোহাম্মদ গাজী ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করেন। পরে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
তার বাবা আব্দুল আজিজ ওরফে নুর মোহাম্মদ লাশ শনাক্ত করে জানান, গত সোমবার দুপুরে তার ছেলে মাসুদ বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর আর ফেরেনি। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও না পেয়ে তারা শার্শা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। আব্দুল আজিজ অভিযোগ করেন, ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকারীরা তার ভ্যানের দড়ি দিয়েই গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করে লাশটি লুকিয়ে রেখেছে। তিনি বলেন, আমার ছেলেকে যারা নিয়ে গিয়েছিল, তারাই এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। আমরা এর সঠিক বিচার চাই।
স্থানীয়রা জানান, ঘটনাস্থলটি জনবহুল এলাকা থেকে কিছুটা দূরে এবং ওই বাড়িটি তখন ফাঁকা ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, হত্যাকারীরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে লাশটি সেখানে এনে ঝুলিয়ে রাখে।
এ বিষয়ে ঝিকরগাছা থানার ওসি নুর মোহাম্মদ গাজী বলেন, প্রাথমিকভাবে এটি একটি হত্যাকাণ্ড বলে মনে হচ্ছে। লাশের গলায় ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। ঘটনাটি আমরা গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছি।
বিশেষ প্রতিনিধি







