Friday, December 5, 2025

বাগরাম ঘাঁটিতে পুনর্দখলের বিরোধিতা করছেন আফগান প্রতিবেশীরা

আফগানিস্তানের আঞ্চলিক প্রতিবেশী দেশগুলো মস্কোতে এক বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাগরাম সামরিক ঘাঁটি পুনর্দখলের পরিকল্পনার বিরোধিতা করেছে। এসব দেশের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র রাষ্ট্রও রয়েছে। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার রাতে এ বিষয়ে যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করেছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

রাশিয়ার আয়োজনে অনুষ্ঠিত ‘মস্কো ফরম্যাট’ বৈঠকে অংশ নেয় ১০টি দেশ। এগুলো হলো- রাশিয়া, চীন, ইরান, ভারত, পাকিস্তান এবং মধ্য এশিয়ার কয়েকটি দেশ। এটি ছিল সপ্তম বৈঠক। তবে প্রথমবারের মতো এতে তালেবান সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি যোগ দেন।

বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্র বা বাগরামের নাম সরাসরি উল্লেখ না করলেও দেশগুলো স্পষ্ট করে জানায়, আফগানিস্তান বা এর প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোতে কোনও দেশের সামরিক অবকাঠামো গড়ে তোলা ‘অগ্রহণযোগ্য’। এতে বলা হয়েছে, এ ধরনের প্রচেষ্টা আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার স্বার্থবিরোধী।

বৈঠক শেষে মস্কোতে সংবাদ সম্মেলনে তালেবান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি বলেন, আফগানিস্তান একটি স্বাধীন দেশ। ইতিহাসে কখনোই বিদেশি সামরিক উপস্থিতি মেনে নেয়নি। আমাদের সিদ্ধান্ত স্পষ্ট, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা হবে।

এ বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর এখনও কোনও মন্তব্য করেনি।

বাগরামের কৌশলগত গুরুত্ব

কাবুলের উপকণ্ঠে অবস্থিত বাগরাম ঘাঁটি একসময় আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় ও গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি ছিল। ২০০১ সালে তালেবান সরকারের পতনের পর দেশটিতে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন অভিযানে এই ঘাঁটিকে মূল কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বিশৃঙ্খল প্রত্যাহারের পর তালেবান পুনরায় ক্ষমতা নেয়, আর বাগরাম সম্পূর্ণরূপে আফগান নিয়ন্ত্রণে আসে।

গত মাসে ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দেন, আফগানিস্তান বাগরাম ঘাঁটি ফিরিয়ে না দিলে খারাপ কিছু ঘটবে। তিনি দাবি করেন, ঘাঁটিটির অবস্থান চীনের নিকটবর্তী হওয়ায় তা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কৌশলগতভাবে অপরিহার্য।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তারা ট্রাম্পের এই ধারণার বাস্তবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাদের মতে, বাগরাম পুনর্দখল আসলে নতুন করে আফগানিস্তান আক্রমণের মতো দেখাবে, যার জন্য অন্তত ১০ হাজার সেনা এবং উন্নত বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন করতে হবে।

রাতদিন -আন্তর্জাতিক ডেস্ক/জয়:-

আরো পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

এই বিভাগের আরো খবর