Saturday, December 6, 2025

ঋণের প্রলোভনে গৃহবধূকে যৌন হয়রানির অভিযোগ

কপিলমুনি (খুলনা) প্রতিনিধি: খুলনার পাইকগাছায় সমিতির ঋণের প্রলোভন দেখিয়ে এক গৃহবধূকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী গৃহবধূ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার লতা ইউনিয়নের পানা-তেঁতুলতলা শ্রমজীবী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও স্বত্বাধিকারী দ্বিজেন্দ্র নাথ হালদার (৩৫), পানা গ্রামের শিবপদ হালদারের ছেলে। গত ১৮ সেপ্টেম্বর বিকালে সমিতির ৪৩ নম্বর সদস্য ফাল্গুনী, তেঁতুলতলার বাসিন্দা মঙ্গল বিশ্বাসের স্ত্রী, সংসারের প্রয়োজনে ঋণের টাকা তুলতে সমিতির কার্যালয়ে যান।

এ সময় দ্বিজেন্দ্র নাথ ঋণ দেওয়ার শর্ত হিসেবে চেক ও স্ট্যাম্প দিতে বলেন। কিন্তু ফাল্গুনী শর্ত মানতে অস্বীকার করে নিজের জমাকৃত সঞ্চয়ের টাকা ফেরত চান। একপর্যায়ে দ্বিজেন্দ্র নাথ কুপ্রস্তাব দেন— “আমার কথা শুনলে আর কোনো শর্ত লাগবে না।” প্রস্তাবে রাজি না হলে তিনি কৌশলে গৃহবধূকে জড়িয়ে ধরে যৌন হয়রানির চেষ্টা করেন। গৃহবধূ চিৎকার দিলে তিনি সেখান থেকে বের হয়ে পরিবারের কাছে ঘটনাটি জানান এবং পরবর্তীতে থানায় অভিযোগ করেন।

সরেজমিনে ঘুরে স্থানীয়রা জানান, দ্বিজেন্দ্র নাথ এলাকায় চিহ্নিত সুদখোর হিসেবে পরিচিত। তিনি অসহায় মানুষের বিপদে দৈনিক এক হাজার টাকায় দশ টাকা হারে সুদ নিয়ে সাধারণ মানুষকে নিঃস্ব করছেন। পাশাপাশি অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগও রয়েছে।

সমিতির সভাপতি প্রভাষক কুমারেশ সরকারের মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে দ্বিজেন্দ্র নাথ সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, বিষয়টি সমাধানের পথে রয়েছে এবং উল্টো ভুক্তভোগী দুই লাখ টাকা দাবি করেছেন বলে অভিযোগ করেন। পরে ফোন সংযোগ কেটে দেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য বিজন কুমার হালদার জানান, গ্রামে বসে সমাধানের চেষ্টা হয়েছিল, কিন্তু তা ব্যর্থ হয়। তিনি বলেন, “অফিসে ওই সময় শুধু তারা দুজনই ছিলেন, কী ঘটেছে তা তারাই ভালো বলতে পারবেন।”

ভুক্তভোগী গৃহবধূ অভিযোগ করেন, দ্বিজেন্দ্র নাথ বিভিন্ন সময় তাকে ও তার স্বামীকে হুমকি দিয়ে আসছেন। এমনকি উল্টো তাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করছেন।

পাইকগাছা থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই হালিম জানান, “কোনো পক্ষ আপোষে রাজি না হওয়ায় সমাধান হয়নি। পরে ভুক্তভোগী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।”

আরো পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

এই বিভাগের আরো খবর