মালামাল নিলামে বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ উঠায় সোমবার যশোর বিমানবন্দর ব্যবস্থাপক কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কর্মকর্তারা। দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় যশোরের উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দুদকের কাছে অভিযোগ ছিলো, বিমানবন্দরের অ্যাপ্রোন রোড থেকে উত্তোলিত অকেজো মালামাল ইট, পাথরসহ ইত্যাদি নিলামে বিক্রিতে অনিয়মের আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। গত ৩ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত নিলামে সর্বোচ্চ দরদাতার কাছে মালামাল বিক্রি না করে চতুর্থ দরদাতার কাছে অকোজো মালামাল বিক্রি করা হয়েছে। সর্বোচ্চ অর্থাৎ প্রথম হওয়া ঠিকাদারের দেওয়া দর ছিলো ১২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। কিন্তু তাকে না দিয়ে চতুর্থ দরদাতার কাছে অকেজো মালামাল বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষ। চতুর্থ দরদাতার দেওয়া দর ছিলো ১০ লাখ টাকা।
দুদক সূত্র জানায়, অভিযানে অংশ নেন উপ-সহকারী পরিচালক চিরঞ্জীব নিয়োগী ও উপ-সহকারী পরিচালক কৃষ্ণ পদ বিশ্বাস।
দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক চিরঞ্জীব নিয়োগী জানান, যশোর বিমানবন্দর ব্যবস্থাপকের কার্যালয় থেকে তাদেরকে জানানো হয়েছে, প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় দরদাতার প্রয়োজনীয় কাগজপত্রে ত্রুটি ছিলো। এ কারণে যথাযথ কাগজপত্র থাকায় চতুর্থ দরদাতার কাছে মালামাল বিক্রির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে সেখানে কর্মরতরা দুদক কর্মকর্তাদের তাৎক্ষণিক বাতিল হওয়া প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় হওয়া দরদাতার কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে তাদের মনে হয়েছে মালামাল নিলামে বিক্রিতে অনিয়ম ছিলো। তবে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় দরদাতার দেওয়া কাগজপত্র হাতে পেলে তারা বিস্তরিত তথ্য জানতে পারবেন।







