Sunday, September 28, 2025

মণিরামপুরে কুকুর-বিড়ালে কামড়ানো ব্যাপকহারে বৃদ্ধি

ওয়েব ডিজাইন — ওয়ান-টাইম স্টার্টার

৫,০০০.০০৳ ২,৫০০.০০৳

১–৩ পেজ • রেসপনসিভ • Elementor Pro • কন্ট্যাক্ট ফর্ম • বেসিক অন-পেজ SEO • ২ রাউন্ড রিভিশন • ১০GB হোস্টিং • ফ্রি ডোমেইন (প্রথম বছর)

এখনই অর্ডার করুন
NS IT Web Solutions

যশোরের মণিরামপুরে কুকুর-বিড়ালে কামড়ানো ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে শতাধিক ব্যক্তি কুকুর ও বিড়ালের কামড়ে আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে অর্ধশতাধিক ব্যক্তিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে র‌্যাবিস (জলাতঙ্ক) ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। গত সপ্তাহে থেকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে র‌্যাবিস ভ্যাকসিনের মজুদ শুন্যের কোটায় নেমে এসেছে। ফলে আক্রান্ত ব্যক্তিরা পড়েছে মহাবিপাকে। এসব রোগীদের মধ্যে কেউ কেউ বাইরে থেকে জোগাড় করলেও অনেকের পক্ষে কেনা সম্ভব হচ্ছে না।

মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা গেছে, বিভিন্ন এলাকা থেকে আক্রান্ত রোগীরা জলাতঙ্কের ভ্যাকসিন নিতে আসছেন। কিন্তু হাসপাতালে ভ্যাকসিন সরবরাহ না থাকায় অনেকে ফিরে যাচ্ছেন। আবার অনেকে বাইরে ফার্মেসী (ওষুধের দোকান) থেকে ভ্যাকসিন কিনে নিয়ে আসছেন।

এরমধ্যে সদর ইউনিয়নের দেবিদাসপুর গ্রামের কলেজ শিক্ষার্থী হাবিবা খাতুন জানান, তাকে বিড়ালে কামড়ালে ভ্যাকসিন নিতে আসলে জরুরী বিভাগ থেকে জানানো হয় ভ্যাকসিন নেই। ফলে তিনি বাইরের একটি ফার্মেসী থেকে সাড়ে পাঁচ’শ টাকায় একটি কিনে জরুরী বিভাগ থেকে পুষ করিয়েছেন।

একই কথা জানান,কন্দোর্পপুর গ্রামের গৃহবধু সুলতানা বেগম, হাকোবা গ্রামের কিশোরী অরন্য কৃন্ডু। জরুরী বিভাগে দায়িত্বে থাকা মেডিকেল অফিসার ডা.শাহিনুর রহমান ও ওয়ার্ডবয় দেবাশীষ সরকার জানান, সকাল ১০ টার দিকে বিড়ালে কামড়ানো তিনজন রোগী আসেন ভ্যাকসিন নিতে। কিন্তু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে না থাকায় রোগীরা বাইরে থেকে ভ্যাকসিন কিনে আনার পর তারা পুশ করে দিয়েছেন।

আবার আলীপুর গ্রামের অধির রায়ের স্ত্রী অঞ্জলী রায় জানান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে এক ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। এ সপ্তাহে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার কথা। মাছনা গ্রামের আক্রান্ত হাফিজুর রহমান, ষোলখাদা গ্রামের আকবর আলী জানান, টাকার অভাবে তারা বাজার থেকে ভ্যাকসিন কিনতে পারেননি।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ষ্টোর কিপার সাইফুল ইসলাম জানান, হঠাৎ করে রোগীর চাপ থাকায় গত বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে র‌্যাবিস ভ্যাকসিনের মজুদ শেষ হয়ে গেছে। আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা.অনুপ কুমার বসু জানান, গত ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কুকুর এবং বিড়ালে কামড়ানো ৫৫জন রোগীকে বিনামূল্যে র‌্যাবিস ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও

পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. ফাইয়াজ আহমেদ ফয়সাল জানান, জরুরুী ভিত্তিতে র‌্যাবিস ভ্যাকসিন সরবরাহের জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিশাত তামান্না জানান, আপদকালিন সময়ে জরুরী ভিত্তিতে র‌্যাবিস ভ্যাকসিন সরবরাহের জন্য জোর চেষ্টা চলছে।

আরো পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

এই বিভাগের আরো খবর