Saturday, December 6, 2025

কুমিল্লার হোমনায় মাজার ভাঙচুরে ২২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

কুমিল্লার হোমনায় মাইকে ঘোষণা দিয়ে চারটি মাজারে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ২২০০ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে হোমনা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তাপস কুমার সরকার বাদী হয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন। শুক্রবার দুপুরে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

জানা গেছে, বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে হোমনার আসাদপুর এলাকায় এক যুবক ফেসবুকে ইসলাম ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার মতো পোস্ট দিলে স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। বিক্ষুব্ধ জনতা তার গ্রেপ্তারের দাবিতে থানার সামনে বিক্ষোভ করে। ওইদিন দুপুরে পুলিশ তাকে আটক করে এবং ইসলামী যুব সেনার হোমনা উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক শরীফুল ইসলামের দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

পরদিন বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে বিক্ষুব্ধ জনতা মাইকে ঘোষণা দিয়ে শত শত লোক সমবেত করে আসাদপুরের কফিল উদ্দিন শাহ, হাওয়ালি শাহ, কালাই শাহ ও আবদু শাহ—এই চারটি মাজারে একযোগে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে এখনো আতঙ্ক বিরাজ করছে। আসাদপুর গ্রামের অনেক পুরুষ গ্রেপ্তার আতঙ্কে এলাকা ছেড়েছেন। মাজারে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত এক নারীর অভিযোগ, ‘ছেলেকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েও মাজার আর ঘরবাড়ি রক্ষা করতে পারলাম না, কোনো নিরাপত্তা পাইনি।’

ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, “ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগে সংশ্লিষ্ট যুবককে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এরপরও একদল উশৃঙ্খল লোক আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে হামলা চালায়। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ২২০০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”

আরো পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

এই বিভাগের আরো খবর