যশোর সদর উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের বেয়াই সিরাজুল ইসলাম কুটি হত্যা মামলার চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ। প্রধান আসামি বেয়াইনকে অভিযুক্ত এবং অপর ছয় আসামির অব্যহতি চেয়ে আদালতে এই চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আল-আমিন।
চার্জশিটে অভিযুক্ত আসামি হলেন, বাহাদুরপুর গ্রামের মৃত মোকাম খানের মেয়ে মাসুরা বেগম। যাদের অব্যহতি চাওয়া হয়েছে তারা হলেন, মাসুরার মেয়ে মনিকা খাতুন, জামাই রেজাউল ইসলাম রেজা, বোন রোজিনা বেগম খুশি, বোনাই মনিরুল ইসলাম, আরেক মেয়ে সুমাইয়া ইসলাম ও আকাশ।
বাদী নিহতের ভাই মফিজুল ইসলাম ইমন মামলায় উল্লেখ করেছিলেন, জামাই মেহেদী হাসানকে বিদেশে পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে সিরাজুল ইসলাম কুটির কাছ থেকে ১২ লাখ টাকা নিয়েছিলেন মাসুরা বেগম হাসি। তবে চুক্তি ছিলো ১৫ লাখ টাকা। কিন্তু মেহেদী হাসানকে বিদেশে পাঠাতে নানা টালবাহনা করতে থাকেন মাসুরা বেগম হাসি। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে বিদেশে পাঠাতে পাসপোর্ট এবং বাকী তিন লাখ টাকা নিয়ে সিরাজুল ইসলাম কুটিকে দেখা করতে বলেন মাসুরা বেগম। গত ২৯ মার্চ সকালে সিরাজুল ইসলাম কুটি এবং বাদী মফিজুল ইসলাম ইমন বাহাদুরপুরে মাসুরা বেগম হাসির বাড়িতে যান। এ সময় তারা মাসুরা বেগম হাসিকে চুক্তির বাকী তিন লাখ টাকা দিয়ে মেহেদী হাসানকে বিদেশে পাঠাতে বলেন। তখন এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে মাসুরা বেগম হাসিসহ অন্যরা ছুরিকাঘাত, লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে, চোখ উপড়ে এবং অণ্ডকোষ চেপে ধরে সিরাজুল ইসলাম কুটিকে হত্যা করেন। এ ঘটনায় নিহতের ভাই মফিজুল ইসলাম ইমন ৭ জনকে আসামি করে কোতয়ালি থানায় মামলা করেন।
তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আল-আমিন জানান, ঘটনার সাথে ওই ৬ আসামির সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। এ কারণে তাদেরকে বাদ দেওয়া হয়েছে।







