যশোরে স্বামী পরিত্যক্তা এক নারীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ এবং গর্ভের সন্তান নষ্ট করার অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে। গতকাল যশোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ আদালতে শহরের ঘোপ নওয়াপাড়া রোডের বাসিন্দা ভুক্তভোগী নারী মামলাটি করেন। বিচারক ড. আতোয়ার রহমান মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের জন্য কোতোয়ালি থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী ও মানবাধিকার উন্নয়ন উদ্যোগ ফাউন্ডেশনের যশোর শাখার প্রেসিডেন্ট অ্যাডভোকেট রুহিন বালুজ। আসামি ভোলার বোরহান উদ্দিন উপজেলার মাস্টার বাজার দেওলা সিকদার বাড়ির শাহাবুদ্দিন সিকদারের ছেলে শিহাব সিকদার। তিনি বর্তমানে যশোর শহরের ঘোপ বউবাজার এলাকার ফজলুর রহমানের বাড়ির ভাড়াটিয়া।
মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, বাদী ২০২৪ সালের ১ মে যশোর শহরের ঘোপ বউবাজার এলাকার ফজলুর রহমানের বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতে থাকেন। এর আগের মাসে তার স্বামীর সঙ্গে তালাক হয়ে যায়। একমাত্র সন্তান নিয়ে তিনি ওই বাড়িতেই ভাড়া থাকতেন। আসামি শিহাব সিকদারও একটি ওষুধ কোম্পানির চাকরির সুবাদে একই বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে থাকতেন। এভাবে তাদের মধ্যে পরিচয় এবং একপর্যায়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ১১ সেপ্টেম্বর রাত ২টার দিকে আসামি শিহাব সিকদার বাদীর ঘরে প্রবেশ করে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। এরপর ধারাবাহিকভাবে বাদীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করতে থাকেন তিনি। একপর্যায়ে বাদী গর্ভবতী হয়ে পড়েন। বিষয়টি জানালে আসামি তাঁকে নিয়ে ইবনেসিনা ডায়াগনস্টিক হাসপাতালে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করান এবং জানা যায়, বাদী ৬ সপ্তাহ ৬ দিনের গর্ভবতী। এর পর আসামি সুকৌশলে বাদীকে ২৫ জুলাই একটি ওষুধ সেবন করান। পরে ৭ আগস্ট আবারও ইবনেসিনা ডায়াগনস্টিক হাসপাতালে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করে জানা যায়, বারবার রক্তক্ষরণের ফলে তাঁর গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়ে গেছে। ১৫ আগস্ট দুপুর ২টার দিকে বাড়িওয়ালা ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সামনে বাদীর সঙ্গে প্রেম ও ধর্ষণের মাধ্যমে গর্ভধারণের বিষয়টি স্বীকার করলেও বিয়ে করতে অস্বীকার করে এলাকা ছেড়ে চলে যান আসামি শিহাব সিকদার।
অ্যাডভোকেট রুহিন বালুজ জানান, আসামি অন্যায় করেছে। আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে কোতোয়ালি থানার ওসিকে মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।
বিশেষ প্রতিনিধি







