আলোচিত ডিবি হারুনের লোক পরিচয়ে ১৫ কোটি ৬৫ লাখ ৩৪ হাজার ৭৫০ টাকা আত্মসাৎ ও চারটি প্রাইভেট কার জাল কাগজ করে আত্মসাৎ চেষ্টার অভিযোগে যশোর আদালতে মামলা হয়েছে। রোববার চুয়াডাঙ্গা জীবননগর উপজেলার কোর্টপাড়ার নাজিম উদ্দিনের ছেলে শাহীনুজ্জামান বাদী হয়ে এই মামলাটি করেছেন। তিনি বর্তমানে যশোরের রাজারহাট রামনগরের বাসিন্দা। আসামি করা হয়েছে কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার ঘোড়াকান্দা গ্রামের সিরাজুল হকের ছেলে আজিজুল হককে। তিনি বর্তমানে ঢাকার মিরপুরে বসবাস করেন। বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বর্ণালী রানী মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের জন্য ঝিকরগাছা থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী রুহিন বালুজ।
বাদী মামলায় বলেছেন, তিনি একজন বাংলাদেশ ট্রান্সপোর্ট এন্ড রেন্টাল কর্পোরেশনের মালিক। সারাদেশে বাদীর ২৮টি ট্রাক ও তিনটি বাস রোডে চলাচল করে। তিনি ফল ব্যবসায়ীও।
অপরদিকে, আসামি তৎকালির ঢাকার ডিআইডি (ডিবি) হারুনের ঘনিষ্ট সহযোগি পরিচয় দিয়ে ২০২২ সালে বাদীর সাথে পরিচয় হয়। এমনকি ডিবি হারুনের সাথেও তার ব্যবসা রয়েছে বলে জানান। এরপরে ডিবি হারুনের ড্রাগন ফল লাগবে বলে বাদীর কাছ থেকে ওই বছরের ২৭ জুলাই তিনশ’ টাকার স্ট্যাম্পে
চুক্তিপত্র তৈরী হয়। আজিজুল হক প্রায় দুই বছর ধরে বাদীর কাছথেকে ১৫ কোটি ৯২ লাখ ৩৪ হাজার ৭৫০ টাকার ড্রাগন ফল নেন। ওই টাকার বিপরীতে মাত্র ২৭ লাখ টাকা দেন। এরপর আর টাকা না দিয়ে নানা তালবাহানা করেন ও ডিবি হারুনের প্রভাব খাটান। শুধুই তাই না, বিভিন্ন সময় আসামির কাছথেকে চারটি পুরাতন গাড়ি নগদ টাকায় কেনেন। পরবর্তীতে তিনি বিক্রির বদলে ওই গাড়ি ভাড়া দেয়া হয়েছে বলে দাবি করেন আজিজুল। সে অনুযায়ি জাল স্ট্যাম্পও তৈরী করেন আজিজুল। কেনোভাবেই টাকা আদায় করতে না পেরে চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারী চুয়াডাঙ্গার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে একটি মামলা করেন। ওই মামলাটি চুয়াডাঙ্গা ডিবি পুলিশ তদন্ত করে সত্য পেয়ে আদালতে রিপোর্ট দাখিল করে। বর্তমানে মামলাটি চার্জ গঠনের পর্যায়ে রয়েছে। এরমাঝে আপোষ মিমাংশার কথা বলে গত ১২ সেপ্টেম্বর ঝিকরগাছার বিএম হাইস্কুল মাঠে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা শুরু হয় । এমন সময় পাওনা টাকা দেবেন না আজিজুল একই সাথে এসব নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে হত্যা করা হবে হুমকি দিয়ে চলে যান। বাধ্য হয়ে তিনি যশোর আদালতে মামলা করেন।







