Saturday, December 6, 2025

দড়াটানা থেকে প্রকাশ্যে ইউপি সদস্যকে মারপিট করে অপহরণের চেষ্টা, জনতার হাতে দুইজন ধরা

যশোর শহরের প্রাণকেন্দ্র দড়াটানায় প্রকাশ্যে এক জনপ্রতিনিধিকে মারধর করে অপহরণের চেষ্টা চালিয়েছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। এ সময় স্থানীয়দের তোপের মুখে পড়ে প্রাইভেটকারসহ দু’জন পালিয়ে গেলেও হাতেনাতে ধরা পড়ে চক্রের দুই সদস্য। পরে কোতোয়ালি থানা পুলিশের কাছে ভিকটিমসহ তিনজনকে সোপর্দ করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার রাত ১১টার দিকে শহরের প্রাণকেন্দ্র দড়াটানার ভৈরব হোটেলের সামনে। তবে, প্রাইভেটকার নিয়ে পালিয়ে গেছে আরও কয়েকজন। ধারনা করা হচ্ছে ওই গাড়িতে অস্ত্র ও মাদক ছিলো।

প্রত্যক্ষদর্শী, অভিযুক্ত ও ভিকটিমের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চৌগাছা বাজারের জাল ব্যবসায়ী আব্দুল জব্বার জসিম, ৬নং মহেশপুরের কাজীরবেড় ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার ভগবতিতলা গ্রামের শফিকুল ইসলামসহ আরও দু’জন একটি প্রাইভেটকারে করে দড়াটানার ভৈরব হোটেলে খেতে আসেন। খাওয়াদাওয়া শেষে শফিকুল ইসলাম বলতে থাকেন, আপনারা আমাকে বাঁচান। আমাকে অপহরণ করে নিয়ে এসেছে এরা। ওদের কাছে অস্ত্র রয়েছে, আমাকে হত্যা করতে চেয়েছিল।

এ কথা বলার পরপরই জসিমসহ আরও তারসাথে থাকা লোকজন হোটেলের সামনেই তাকে বেধড়ক মারধর শুরু করে। একপর্যায়ে ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলামকে প্রাইভেটকারে তুলতে চেষ্টা করে তারা। এ সময় শফিকুলের ডাকচিৎকারে উপস্থিত  জনতা এগিয়ে এসে তাদেরকে ধরে ফেলে। এসময় দ্রুতই প্রাইভেটকার নিয়ে সটকে পড়ে অন্যরা।

প্রথমজন ভিকটিম জনপ্রতিনিধি, মাঝখানে অভিযুক্ত জসিম ও পাশে কালো গেঞ্জি পরা জসিমের ভাইপো হৃদয়।

পরে স্থানীয়দের কাছে শফিকুল ও জসিম পরস্পরবিরোধী বক্তব্য দিতে থাকেন। জসিমের দাবি, মেম্বারের কাছে তিনি আড়াই লাখ টাকা পাবেন। যা ব্যবসার টাকা। কিন্তু কিসের ব্যবসার টাকা এর উত্তর দিতে নয়ছয় করেন। এমনকি পাওনা টাকার প্রমাণ দেখাতেও ব্যর্থ হন তিনি। অন্যদিকে, শফিকুল জানান মূলত জসিম মাছ ধরা জালের ব্যবসার পাশাপাশি ফেনসিডিলেরও ব্যবসা করেন। র‌্যাব তার একটি চালান শফিকুলের এলাকা থেকে জব্দ করে। জসিমের দাবি শফিকুলই তার মাদক ধরিয়ে দিয়েছেন।  ওই মাদকের টাকা এখন তার কাছে দাবি করছে। তাকে যশোর থেকে মাংস কিনে দেওয়ার জন্য নিয়ে আসা হয়। এরপর গাড়ির মধ্যে তাকে অস্ত্র ধরে ওই টাকা দিতে বলে। খাওয়া দাওয়া শেষে তাকে হত্যা করার পরিকল্পনা ছিল জসিমের বলে অভিযোগ করেন শফিকুল। পরে স্থানীয়রা কোতোয়ালি থানা পুলিশকে খবর দিলে এসআই জাহিদ ওই দু’জনসহ জসিমের সঙ্গে থাকা তার ভাইপো হৃদয়কে হেফাজতে নেন।

এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল হাসনাত বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ তাদের হেফাজতে নিয়েছে। এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না, জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

বিশেষ প্রতিনিধি

 

আরো পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

এই বিভাগের আরো খবর