শার্শা উপজেলা প্রতিনিধি: বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে আত্মদানকারী জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখের কবর জিয়ারত করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এ সময় তাঁরা তাঁর বীরত্বপূর্ণ আত্মত্যাগ স্মরণ করেন এবং রূহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত করেন।
এরপর তাঁরা ডিহি ইউনিয়ন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সহ-সভাপতি, বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ মরহুম আলহাজ্ব সৈয়দ আলী বিশ্বাসের কবরেও জিয়ারত করেন। নেতৃবৃন্দ তাঁর রাজনৈতিক অবদান স্মরণ করে আত্মার শান্তি কামনা করেন।
কবর জিয়ারত ও দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক মোঃ মফিকুল ইসলাম তৃপ্তি, শার্শা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ তাজউদ্দিন, যশোর জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ ইমদাদুল হক, উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ আল মামুন বাবলু, বেনাপোল পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ আশরাফুজ্জামান মির্জা, মোঃ জনি হায়দার, মোঃ লাফু মোড়ল, সদস্য মোঃ মফিজুর রহমান পিন্টু প্রমুখ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ডিহি ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি মোঃ আবু কালাম, নেতা মোঃ খাইরুল ইসলাম, সাবেক মেম্বার মোঃ সামসুর, পুটখালী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ মফিজুর রহমান, যুবদল নেতা মোঃ জিয়া বিশ্বাস ও মোঃ লিটনসহ বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, শ্রমিক দল ও কৃষক দলের নেতাকর্মীরা।
মফিকুল হাসান তৃপ্তি বলেন,
“বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শুধু শার্শা বা যশোরের নয়, তিনি পুরো বাংলাদেশের গর্ব। তাঁর সাহসিকতা ও আত্মত্যাগ নতুন প্রজন্মকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করবে।”
তিনি আরও বলেন,
“আলহাজ্ব সৈয়দ আলী বিশ্বাস ছিলেন ডিহি ইউনিয়ন বিএনপির প্রাণভোমরা। তিনি ছিলেন তৃণমূলের নেতা, সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখে পাশে থেকেছেন। তাঁর রাজনৈতিক অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।”
যশোর জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ ইমদাদুল হক বলেন,
“আজ আমরা মহান মুক্তিযোদ্ধা বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ এবং আমাদের দলের অভিভাবক মরহুম সৈয়দ আলী বিশ্বাসের কবর জিয়ারত করেছি। তাঁদের আদর্শ ও ত্যাগ আমাদের রাজনৈতিক সংগ্রামে শক্তি যোগাবে।”
নেতৃবৃন্দ একমত হয়ে বলেন,
“বর্তমান রাজনৈতিক সঙ্কটে শহীদদের আত্মত্যাগ ও প্রবীণ নেতাদের অবদানকে সামনে রেখে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তবেই শহীদদের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়া সম্ভব হবে।”
