যশোরের ঝিকরগাছার পল্লীতে ১৩বছর বয়সী এক শিশুছাত্রকে বলৎকারের ঘটনায় অভিযোগে মাদ্রাসার শিক্ষক ইয়াকুব আলী (৩৪) কে আটক করেছে পুলিশ। ন্যাক্কারজনক এই ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার শংকরপুর ইউনিয়নের নিভৃতপল্লী কুমরী হাফিজিয়া মাদ্রাসায়।
পুলিশ আটককৃত মাদ্রাসার শিক্ষক ইয়াকুব আলীকে মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করে। অতঃপর আদালতের নির্দেশে তাকে শ্রীঘরে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানাগেছে। সে শার্শা উপজেলার গোগা গ্রামের বাসিন্দা রবিউল ইসলামের ছেলে। শিশুটির পিতা বেনাপোল পোর্ট থানার ভবেরবেড় গ্রামের বাসিন্দা ইয়ানুর রহমান বাদি হয়ে ঝিকরগাছা থানায় একটি মামলা করেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ৩১ডিসেম্বর ২০২০ বেলা সাড়ে ১২টার সময় মামলার বাদীর ছেলে বাড়ীতে চলে যায়। ১লা জানুয়ারী দুপুর ২টার সময় ছেলেকে নিয়ে পুনঃরায় মাদ্রাসায় দিয়ে আসার জন্য নাভারণ সাতক্ষীরার মোড় হতে একটি সিএনজিতে তুুলে দেন। এমতাবস্থায় ছেলে মাদ্রাসায় না গিয়ে বাড়িতে চলে যায়। তখন তিনি ছেলেকে বাড়ি ফিরে যাওয়ার কথা জানতে চাইলে তখন তার ছেলে জানায়, সে আর মাদ্রাসায় যাবে না, হুজুর তাহার সাথে খারাপ কাজ করে।
গত ১৫ অক্টোবর সকাল ১০টা হতে ২৫ডিসেম্বর ২০২০ এর মধ্যে বিভিন্ন সময় মাদ্রাসার শিক্ষক ইয়াকুব আলী এজাহারকারীর ছেলেকে মাদ্রাসায় অবস্থিত মাদ্রাসার শিক্ষক ইয়াকুব আলীর শয়ন কক্ষে ডেকে নিয়ে বলৎকার করেন।ঐসময় ছেলেটি চিৎকার করায় মাদ্রাসার শিক্ষক তাকে ছেড়ে দেয় এবং ঘটনার বিষয়ে কাউকে কোন কিছু না বলার জন্য অনুরোধ করে।
শিশুটির অভিভাবক মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদকে অবহিত করে। কিন্তু মাদ্রাসার অনুদান বন্ধ হওয়া ও ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হওয়ার আশংকায় বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। এ পর্যায়ে অভিভাবক ও গ্রামবাসীর চাপের মুখে শিক্ষক ইয়াকুব আলীকে মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদ পুলিশের হাতে তুলে দেন। এব্যপারে কুমরী হাফিজিয়া মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদের সেক্রেটারি আসাদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আপনারা এই বিষয়টি নিউজ করবেন না। নিউজ হলে আমাদের মাদ্রাসার দুর্নাম হবে। এবং মাদ্রাসার অনুদান হয়তো বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
এবিষয়ে ঝিকরগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মেজবাহ উদ্দিন বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ২০০০সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধন/০৩) এর ৯ (৪) (খ) ধারা মোতাবেক মামলা দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
আফজাল হোসেন চাঁদ







