Saturday, December 6, 2025

যশোরে জাদুবিদ্যা দেখিয়ে স্বর্ণ হাতিয়ে নেওয়া ‘জাদুকর’ আটক

যশোরে জাদুবিদ্যার প্রলোভন দেখিয়ে স্বর্ণালঙ্কার আত্মসাতের ঘটনায় সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের দুই সদস্যকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ।

এ সময় প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেওয়া ২ ভরি ১৩ আনা সোনার গহনা উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত গহনাগুলোর মধ্যে রয়েছে ১৯টি আঙটি, ৬ জোড়া কানের দুল, একটি দড়ি চেইন, দুটি কমল চেইন, দুটি পাক চেইন এবং একটি টিকলি। এসব স্বর্ণালঙ্কারের আনুমানিক মূল্য প্রায় ৪ লাখ ৪৬ হাজার টাকা।

আটককৃতরা হলেন—খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার উত্তর আরশ নগরের নফল আলীর ছেলে আসাদুল শেখ ওরফে রাজু, যিনি যশোর সদর উপজেলার সাখারীগাতি গ্রামে ভাড়া থাকেন, এবং একই এলাকার আব্দুল গফ্ফারের ছেলে খাইরুল ইসলাম, যিনি রূপদিয়া বাজারের মামনি জুয়েলার্সের মালিক।

এ ঘটনায় যশোর সদর উপজেলার নরেন্দ্রপুর পূর্বপাড়ার মৃত মানিক দাসের স্ত্রী গোলাপী রানি দত্ত বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

ডিবি অফিসার ইনচার্জ মঞ্জুরুল হক ভূঁঞা জানান, গোলাপী রানীর সঙ্গে রাজুর পরিচয় হয় মোবাইল ফোনে। একপর্যায়ে তিনি ‘ধর্মবোন’ পরিচয়ে ঘনিষ্ঠতা গড়ে তোলেন এবং দাবি করেন, তিনি জাদুবিদ্যা জানেন। কাগজ থেকে টাকা বানানো এবং সোনা থেকে সোনা বহুগুণে বাড়িয়ে দেওয়া তার পক্ষে সম্ভব।

গত ১ আগস্ট রূপদিয়া রেলস্টেশনের পাশে দেখা করার সময় রাজু প্রাথমিকভাবে এক জোড়া দুল নিয়ে ‘জাদু’ দেখিয়ে কিছু টাকা ফেরত দেন। এতে প্রলুব্ধ হয়ে ৩ আগস্ট একই স্থানে গোলাপী রানি প্রায় ৩ ভরি ওজনের স্বর্ণালঙ্কার তার হাতে তুলে দেন। এরপর রাজু কৌশলে পালিয়ে যান। বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেও ব্যর্থ হয়ে শেষমেষ বুধবার রাতে তিনি থানায় মামলা করেন।

মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় ডিবি পুলিশ। গুরুত্ব দিয়ে দ্রুত অভিযান শুরু করেন এসআই অলোক কুমার দে। মামলার মাত্র দুই ঘণ্টার মধ্যেই বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে নরেন্দ্রপুর এলাকা থেকে মূল হোতা রাজুকে আটক করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যে রূপদিয়া বাজার থেকে সহযোগী খাইরুল ইসলামকেও গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে খোয়া যাওয়া স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার দুপুরে আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হলে রাজু ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। পরে বিচারক দুইজনকেই কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আরো পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

এই বিভাগের আরো খবর