যশোরে একদিনের ব্যবধানে আবারও প্রায় কোটি টাকার সোনার বারসহ এক পাচারকারীকে আটক করেছে বিজিবি। বৃহস্পতিবার সকালে খুলনা-যশোর মহাসড়কের মুড়লিমোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে রুবেল নামের এক ব্যক্তিকে আটক করে ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়ন। পরে তার দেহ তল্লাশি করে কোমরে লুকানো অবস্থায় ৫ পিস সোনার বার উদ্ধার করা হয়।
আটক রুবেল কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট থানার বাসন্ডা গ্রামের সাইদুর রহমানের ছেলে। উদ্ধার করা সোনার বাজারমূল্য প্রায় ৮৬ লাখ ৬ হাজার ৫২০ টাকা। এছাড়া তার কাছ থেকে নগদ ৩ হাজার ৯৯৫ টাকা এবং একটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
সম্প্রতি তিনটি অভিযানে বিজিবি ৩ কোটি ৫ লাখ ৮৫ হাজার ৫৭৬ টাকার সোনা উদ্ধার করেছে। বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রুবেল ঢাকার ধোলাইপাড় এলাকা থেকে সোনা সংগ্রহ করে বেনাপোল সীমান্ত হয়ে ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবি আগে থেকেই সতর্ক ছিল। মেইন সড়কে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করার সময় রুবেলকে থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি অসঙ্গতিপূর্ণ জবাব দেন। পরে দেহ তল্লাশি করে সোনার বারগুলো উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়েছে।
এর আগে গত মঙ্গলবার দুপুরে খুলনা-যশোর মহাসড়কের রাজারহাট বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে আফছার আলী নামে আরেক পাচারকারীকে আটক করে বিজিবি। সেখান থেকে ৫ পিস সোনার বার উদ্ধার করা হয়, যার বাজারমূল্য প্রায় ৯৭ লাখ ৫৪ হাজার ৫৬ টাকা।
তারও আগে সোমবার যশোর সদরের হামিদপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে অভিযান চালিয়ে আরও দুই সোনা পাচারকারীকে আটক করে বিজিবি। তারা হলেন রাজবাড়ীর সজ্জনকান্দা গ্রামের আব্দুল গনি সরদারের ছেলে আব্দুল হালিম (২৭) এবং শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার শুভগ্রামের নান্নু মাতবরের ছেলে শহিদুল ইসলাম (২৯)। তাদের কাছ থেকে ৫ পিস সোনার বার উদ্ধার করা হয়, যার মূল্য প্রায় ১ কোটি ২২ লাখ ২৫ হাজার টাকা। এছাড়া নগদ ১৫ হাজার ৭৩০ টাকা ও দুটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
গত চার দিনে তিনটি অভিযানে বিজিবি ৩ কোটি ৫ লাখ ৮৫ হাজার ৫৭৬ টাকার সোনা উদ্ধার করেছে। আটক করা হয়েছে চার পাচারকারীকে। তবে এখনো মূল হোতারা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে।







