সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরায় স্কুলে ঢুকে এক সহকারী শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপি ও ছাত্রদল নেতাদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় রবিবার সকালে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বল্লী মুজিবুর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে।
মারধরের শিকার শিক্ষক শফিকুর ইসলাম জানান, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ক্লাস নেওয়ার পর অফিসকক্ষে আসেন তিনি। বেলা ১০টার দিকে বিএনপি ও ছাত্রদলের স্থানীয় কয়েকজন নেতা-কর্মী লোহা রড, হাতুড়ি, লাঠিসহ দলবদ্ধ হয়ে স্কুলে প্রবেশ করে তাকে অফিসকক্ষে মারধর শুরু করে। এরপর টেনে-হিঁচড়ে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে নিয়ে গিয়ে আবারও বেদম মারধর করে। পরে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করেন।
এ ঘটনায় শফিকুর ইসলাম সাতক্ষীরা সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে বলা হয়, বল্লী গ্রামের লিয়াকত আলীর ছেলে কামরুজ্জামান সবুজ, রেজাউল বিশ্বাসের ছেলে শাহিনুর রহমান, হাজীপুর গ্রামের মৃত কওছার গাজীর ছেলে রবিউল ইসলাম, মৃত আনারুল ইসলামের ছেলে সেলিম আক্তার মন্টু, আব্দুল গফুরের ছেলে আব্দুল গনি, ইউপি সদস্য আব্দুর রইচসহ আরও কয়েকজন হামলায় জড়িত ছিলেন। তারা মারধরের সময় ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানান, তিনি স্কুলে গিয়ে দেখেন স্থানীয় বিএনপি ও ছাত্রদলের কিছু নেতা অফিসে বসে আছেন। কথোপকথনের এক পর্যায়ে তারা শিক্ষক শফিকুর ইসলামকে চেয়ারে বসা অবস্থায় লাথি মেরে ফেলে দেন এবং পরে টেনে নিয়ে বেদম প্রহার করেন। তিনি বিষয়টিকে পূর্বপরিকল্পিত হামলা হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
এ বিষয়ে বল্লী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সেলিম আক্তার মন্টুকে ফোন করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। আর ছাত্রদল নেতা কামরুজ্জামান সবুজ ফোন রিসিভ করেননি।
সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামিনুল হক বলেন, এ ঘটনায় অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।







