সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৩০% ভুয়া বলে অভিযোগ করেছেন বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান। তিনি বলেছেন, ‘দেশে প্রতিবছর যে ৭-৮ কোটি টাকার বাজেট করা হয়—বিশেষ করে উন্নয়ন বাজেটে—তার বড় একটি অংশই দুর্নীতি ও অপচয়। বিজিএমইএর ‘স্কিলস ফর ইন্ডাস্ট্রি কম্পেটিটিভনেস অ্যান্ড ইনোভেশন প্রোগ্রাম’ (এসআইসিআইপি) প্রকল্পের জন্য সরকার থেকে ৫০ কোটি টাকা বাজেট করা হয়েছে। প্রতিবছর ১০ হাজার টাকা দেয়া হবে, যার অর্ধেকই ভুয়া। আমরা বলেছি, দরকার হলে সরকারের টাকা ফেরত চলে যাবে। সঠিকভাবে ব্যবহার করা গেলে প্রকল্প চলবে। ২০২৬ সালের পর থেকে যেসব প্রকল্প হবে, সেগুলো কাজে লাগবে—লোক দেখানো হবে না।’
তিনি বলেন, ‘ট্যারিফ নেগোশিয়েশনে সবচেয়ে বড় স্টেকহোল্ডার হিসেবে থাকতে চেয়েছি। মনে করা হয়, আমাদের মতো উদ্যোক্তাদের সঙ্গে কথা বললে আমলাতন্ত্রের ধর্ম নষ্ট হবে। আমরা যখন চেঁচামেচি শুরু করলাম, শেষ মুহূর্তে আমাদের জানানো হলো। এর মানে এ নয় যে আমাদের জন্য ট্যারিফ কমানো সম্ভব হয়েছে। সরকার ২০ শতাংশে এনেছে—এর জন্য ধন্যবাদ; তবে ১৫ শতাংশ হলে আরো ভালো হত। এখন আমরা ২০ শতাংশকে ১৪-১৫ শতাংশে নামানোর কাজ করছি।’
প্রতিবছর বাজেট ঘোষণার সময় নীতিমালা পরিবর্তনের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে গার্মেন্টস শিল্পে ৭২০০ প্রতিষ্ঠান থেকে ৩০০০-এ নেমে এসেছে। এর পেছনে অনেক কারণ আছে, তার মধ্যে নীতিমালাও একটি কারণ। নীতিমালা প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হয়। সরকার বাজেটের সময় নীতি পরিবর্তন করে। ফিসকাল বাজেটের সঙ্গে সঙ্গে কিছু বাজেট দেয়া হয়। সে অনুযায়ী শিল্প উদ্যোক্তারা কাজ শুরু করেন, কিন্তু পরের বছর আবার নীতিমালা বদলে যায়। নীতি টেকসই না হওয়ায় স্থানীয় বিনিয়োগ ও এফডিআই আসে না। আমরা বলব, এটি দীর্ঘমেয়াদী করুন। তখন আমরা সেভাবে পরিকল্পনা করতে পারব।’







