ঝিকরগাছার নাভারণ পুরাতন বাজারে নোটিশ ছাড়াই হঠাৎ উচ্ছেদের পাঁয়তারা শুরু হয়েছে। বাজারের তরকারি পট্টির দীর্ঘদিনের ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ করে নতুন সেড নির্মাণের নাম করে মোটা অঙ্কের টাকায় পজিশন বিক্রির পরিকল্পনায় মরিয়া হয়ে উঠেছে একটি চক্র। অভিযোগ রয়েছে, পুরাতন বাজারের ইজারাদার সজিব হোসেন নিজেই এই চক্রের নেপথ্যে রয়েছেন। নামমাত্র খাজনা দেওয়ার শর্তে কাঁচা বাজারের ইজারা নেওয়ার পর তিনি বাজারসংলগ্ন খেলার মাঠে সেড নির্মাণ করে দোকান বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে, কোন পূর্ব ঘোষণা বা নোটিশ ছাড়া বাজারের তরকারি পট্টির দীর্ঘদিনের ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ করা হচ্ছে। নতুন সেড নির্মাণের কথা বলে সেখানে ইতোমধ্যেই নির্মাণসামগ্রী ফেলে দেওয়া হয়েছে। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বিনা নোটিশে এমন উচ্ছেদে তাদের বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতি হবে এবং জীবিকা হুমকির মুখে পড়বে।
অভিযোগে আরও উল্লেখ রয়েছে, মরহুম আকিজ উদ্দিন, হাজী এসএম মইনুর রহমান, মোস্তফা হাসান ফিরোজ ও আশিকুর রহমানের বাড়ির সামনে দীর্ঘদিন ধরে একটি সরকারি ফাঁকা জায়গা পড়ে আছে, যেখানে স্থানীয় শিশু-কিশোরেরা খেলাধুলা করে। কিন্তু সম্প্রতি সেই জমিকে নাভারণ পুরাতন বাজারের সঙ্গে একীভূত করে ইজারা দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল ওই জায়গায় দোকানপাট নির্মাণের বরাদ্দ নিচ্ছে, যা এলাকাবাসীর একমাত্র উন্মুক্ত খেলার স্থানটি দখলের শামিল। অভিযোগকারীরা অবিলম্বে এই ইজারা বাতিল করে জায়গাটি উন্মুক্ত রাখার দাবি জানিয়েছেন।
স্থানীয় অনেক ব্যবসায়ী বলছেন, তারা দীর্ঘদিন ধরে যেখানে বসে ব্যবসা করছেন, সেড নির্মাণের অজুহাতে এখন তাদের সেখান থেকে উচ্ছেদ করা হচ্ছে। পরে ওই জায়গা অন্যদের কাছে তুলে দেওয়ার আশঙ্কাও করছেন তারা।
আরও কয়েকজন ব্যবসায়ী অভিযোগ করেন, সেড নির্মাণ করা হলে আপত্তি নেই, তবে পুরাতন ব্যবসায়ীদের একই স্থানে বসার নিশ্চয়তা দেওয়া উচিত। কিন্তু সচিব কোন আশ্বস্তকারী কথা বলছেন না; বরং অসহায় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে অশোভন আচরণসহ যা ইচ্ছে তা করছেন। তার ইজারা পাওয়া নিয়েও স্থানীয়দের মধ্যে নানা প্রশ্ন উঠেছে।
এ বিষয়ে নাভারণ পুরাতন বাজারের ইজারাদার সাজিব হোসেন দাবি করেন, তিনি বৈধ ইজারাদার। প্রশাসন বাজারের ব্যবসায়ীদের সুবিধার জন্য নতুন সেড নির্মাণ করছে। এর বাইরে কোন উদ্দেশ্য নেই। ব্যবসায়ীরা যাতে রোদ-বৃষ্টি থেকে রক্ষা পান, সেজন্যই সেড নির্মাণ করা হচ্ছে।
ওয়াসিম হোসেন







