খুলনায় প্রিজন সেল থেকে ইউসুফ হাওলাদার (২৩) নামে মাদক মামলার আসামি পালিয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) ভোর রাত সাড়ে ৩টার দিকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। পলাতক ইউসুফ নগরীর খালিশপুর থানার আলমনগর মোড়ের শাহজাহান হাওলাদারের ছেলে।
পুলিশ ও হাসপাতালের নথি থেকে জানা যায়, বুধবার (৬ আগস্ট) নগরীর খালিশপুর থানায় দায়ের হওয়া মাদক মামলায় গ্রেপ্তার হন ইউসুফ হাওলাদার।
কিন্তু তার বুকে ব্যথা অনুভব করলে পুলিশ সদস্যরা তাকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেলে ভর্তি করে। সেখানে মাকসুদ আলম নামে আরো এক আসামিও চিকিৎসাধীন ছিলেন। বুধবার দিবাগত রাতে মাকসুদ বাথরুমে যেতে চাইলে পুলিশ কনস্টেবল রাব্বী আলী তাকে তালা খুলে বাথরুমে নিয়ে যান। কিন্তু ভুলবশত তালা বন্ধ না করার সুযোগে ইউসুফ হাওলাদার পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় মুহূর্তেই হাসপাতালে তোলপাড় শুরু হয়। বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত তার সন্ধান মেলেনি।
খালিশপুর থানার এএসআই মো. নাসির উদ্দিন জানান, বুকে ব্যথার কারণে তাকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দেখানো হলে চিকিৎসক তার রোগ শনাক্ত করতে পারেননি। ইউসুফ একেক সময় একেক রকম কথা বলছিল।
তখন চিকিৎসকের নির্দেশে তাকে মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে রাত সাড়ে ৯টায় প্রিজন সেলে রেখে চলে আসেন।
প্রিজন সেলের ইনচার্জ এস আই শামীম রেজা জানান, প্রিজন সেলে দুজন আসামি ছিল। তাদের মধ্যে বয়স্ক আসামি রাত সাড়ে ৩টায় বাথরুমে যাওয়ার প্রয়োজন জানান। তখন দায়িত্বরত কনস্টেবল রাব্বি আলী তার জন্য প্রিজন সেলের দরজার তালা খুলে দেন এবং তাকে বাথরুমে নিয়ে যান।
কিন্তু ভুল করে দরজার তালাটি পুনরায় বন্ধ করতে ভুলে যান। বাথরুম শেষে ফেরত আসার পর দেখা যায় ইউসুফ নেই। বাইরের কারারক্ষীদের যে গেট, সেটিরও তালা খোলা থাকায় সে পালিয়ে যায়।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মো. আবু তারেক জানান, প্রিজন সেল ও কারারক্ষীদের অবস্থান বিপরীত দিকে। কিন্তু গেটে তালা না থাকার সুযোগে রাত সাড়ে ৩টার দিকে মাদক মামলার আসামি পালিয়ে যায়। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে। প্রিজন সেলে দায়িত্বরতদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।







