চাঁদে পারমাণবিক চুল্লি স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। ২০৩০ সালের মধ্যেই এ প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ শুরু করছে সংস্থাটি।
বুধবার (৬ আগস্ট) বার্তাসংস্থা আনাদোলুর এক প্রতিবেদনে মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকো–এর বরাত দিয়ে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে মহাকাশ প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকতে এবং চাঁদে দীর্ঘমেয়াদি উপস্থিতি নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্র ১০০ কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন একটি পারমাণবিক চুল্লি স্থাপনের উদ্যোগ নিচ্ছে। এর জন্য বেসরকারি খাত থেকে প্রস্তাব আহ্বান করবে নাসা।
নাসার এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা পলিটিকোকে জানান, এটা দ্বিতীয় মহাকাশ দৌড়ে জয়ী হওয়ার বিষয়।
প্রকল্প বাস্তবায়নে নেতৃত্ব নির্ধারণ ও শিল্পখাতে আলোচনা শুরু করার জন্য নাসাকে ৬০ দিনের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, ৪০ কিলোওয়াট ক্ষমতার ছোট একটি চুল্লি নিয়ে গবেষণায় অর্থায়ন করেছিল নাসা। তবে এবার লক্ষ্য আরও বড় এবং সময়সীমা স্পষ্ট।
নথিতে সতর্ক করে বলা হয়েছে, যে দেশ প্রথম পারমাণবিক চুল্লি স্থাপন করবে, তারা চাঁদের নির্দিষ্ট অঞ্চল নিজেদের নিয়ন্ত্রণাধীন হিসেবে ঘোষণা করতে পারে, যা অন্যদের প্রবেশাধিকার সীমিত করবে।
তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত বাজেটে নাসার বরাদ্দ প্রায় এক চতুর্থাংশ কমিয়ে ২৪.৮ বিলিয়ন ডলার থেকে ১৮.৮ বিলিয়ন ডলারে নামিয়ে আনা হয়েছে। এতে প্রশ্ন উঠেছে—এই ব্যয়বহুল পারমাণবিক প্রকল্পের অর্থায়ন কীভাবে হবে এবং প্রচলিত মহাকাশ গবেষণা কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
অনলাইন ডেস্ক/আর কে-০২







