যশোরে মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনের একটি মামলায় এক দম্পতিকে ৫ বছর করে সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাদের ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড অনাদায়ে আরও তিন মাস করে কারাদন্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক ড. আতোয়ার রহমান এই রায় ঘোষণা করেন। সাজাপ্রাপ্তরা হলেন যশোর সদর উপজেলার শাখারীগাতি গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে ইমরান হোসেন ও তার স্ত্রী রেকশোনা বেগম। রায়ের সময় রেকশোনা বেগম আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৫ সালে ওমানে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ইমরান ও তার স্ত্রী রেকশোনা বেগম একই উপজেলার বানিয়ারগাতি গ্রামের জুবায়ের হোসেনের কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা নেন। প্রথমে ৬৫ হাজার টাকা নেওয়ার পর পরে টিকিট দেখিয়ে আরও ২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা আদায় করা হয়। এরপর জুবায়েরকে ওমানে পাঠানো হলেও সেখানে তাকে কয়েকদিন আটকে রেখে শারীরিক নির্যাতন করা হয় এবং তার মায়ের কাছে আরও ২ লাখ টাকা চাওয়া হয়।
পরবর্তীতে স্থানীয়দের চাপ ও পরিবারের অনুরোধে ১৬ এপ্রিল জুবায়েরকে অসুস্থ অবস্থায় দেশে ফেরত পাঠানো হয়। এরপর এক সালিশে ক্ষতিপূরণ হিসেবে এক লাখ ৭০ হাজার টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হলেও তা না মানায় জুবায়ের একই বছরের ২৫ জুন আদালতে মামলা করেন। পরে পুলিশ তদন্ত শেষে দম্পতির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয়। আদালত দীর্ঘ শুনানি শেষে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এই সাজা প্রদান করেন।
বিশেষ প্রতিনিধি







