যশোর শহরের নীলগঞ্জ সাহাপাড়ার বাসিন্দা তৌহিদুল ইসলাম শিপন নামে এক যুবকের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, নগদ টাকা ও সোনার গহনা ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় যশোর জেলা পরিষদের এক শীর্ষ কর্মকর্তার ছেলে স্বাধীনসহ চার-পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী শিপন।
অভিযোগে শিপন জানান, মঙ্গলবার (২২ জুলাই) রাত সাড়ে আটটার দিকে স্বাধীন তাকে ফোন করে জরুরি কথা বলার কথা জানিয়ে যশোর জেলা পরিষদ এলাকায় ডেকে নেন। সেখানে পৌঁছালে স্বাধীনসহ আরও কয়েকজন তাকে ঘিরে ধরে শারীরিকভাবে মারধর করেন। এসময় তার গলায় থাকা দুই ভরি পাঁচ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন মূল্য প্রায় তিন লাখ ৩০ হাজার টাকা , মানিব্যাগে থাকা ৪ হাজার ৩০০ টাকা এবং মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়া হয়। একপর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয় এবং তার মোটরসাইকেলের চাবি কেড়ে নেয়া হয়। শিপনের দাবি, তার চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন ছুটে এলে অভিযুক্তরা তার মোটরসাইকেল নিয়ে দ্রুত সেখান থেকে পালিয়ে যায়। পরে তিনি যশোর জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করে কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ করেন।
এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্বাধীন। তিনি পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, শিপন দীর্ঘদিন ধরে তার ক্ষতি করার চেষ্টা করে আসছিলেন এবং কিছুদিন আগে ফোনে তাকে গালিগালাজ করেন। মঙ্গলবার রাতে জেলা পরিষদ ভবনের সামনে শিপনের সঙ্গে তার কথাকাটাকাটি হয় এবং শিপনই তাকে মারধর ও ভয়ভীতি দেখায়। তিনি চিৎকার করলে শিপনরা একটি গাড়ি ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে যশোর কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল হাসনাত বলেন, জেলা পরিষদ এলাকা থেকে একটি মোটরসাইকেল পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। শিপন ও স্বাধীন আগে একসাথে চলাফেরা করতেন। বর্তমানে পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন তারা।
রাতদিন সংবাদ







