আঃ সবুর আল আমিন, কপিলমুনি (খুলনা): খুলনার পাইকগাছা উপজেলার চাঁদখালী ইউনিয়নের উত্তর গড়ের আবাদ ও পূর্ব গজালিয়া এলাকার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা এখন নড়বড়ে একটি বাঁশের সাঁকো। নৈর নদীর উপর নির্মিত এই সাঁকো এখন কোমর পানি ডুবে গেছে। বন্যা পরিস্থিতি ও দীর্ঘদিনের অবহেলায় সাঁকোটি পরিণত হয়েছে মরণফাঁদে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সরদার বাড়ি জামে মসজিদের সামনে সাঁকোটি অবস্থিত। প্রতিদিন শত শত মানুষ, বিশেষ করে শিক্ষার্থী ও রোগীরা চরম ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছেন এই বাঁশের সাঁকো দিয়ে। বর্ষা মৌসুমে কোমর পানি থাকায় দুর্ঘটনার আশঙ্কা আরও বাড়ছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, প্রতিটি নির্বাচনের আগে জনপ্রতিনিধিরা সেতু নির্মাণের আশ্বাস দিলেও পরে তারা আর কোনো খোঁজ রাখেন না। ফলে এই অঞ্চলের কৃষিপণ্য পরিবহন ব্যাহত হচ্ছে এবং শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
উল্লেখযোগ্য যে, কয়েক বছর আগে এলাকাবাসীর নিজস্ব উদ্যোগে একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়। পরে সরকারি সহায়তায় পাকা পিলার বসানো হলেও তা টিকেনি। বর্তমানে প্রায় দুই হাজার মানুষ এই ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকোর ওপর নির্ভরশীল।
স্থানীয়রা দ্রুত নৈর নদীর ওপর একটি স্থায়ী সেতু নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।







