মহব্বত আলী: বৃষ্টির মৌসুম শুরু হতেই যশোরের পুকুর, খাল, বিল ও বুড়ী ভৈরব নদীতে একের পর এক প্রাণ হারাচ্ছে শিশু থেকে বৃদ্ধরা। গোসল কিংবা মাছ ধরার সময় পানিতে ডুবে মারা যাওয়ার ঘটনাগুলো এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।
গত তিন দিনে একাধিক দুর্ঘটনায় ঝরে গেছে তিনটি প্রাণ।
১২ জুলাই: যশোর সদর উপজেলার কাশিমপুর ইউনিয়নের শানতলা গ্রামে ১০ বছর বয়সী শিশু জিহাদ হোসেন বিকেলে বন্ধুদের সঙ্গে ব্রিজ থেকে গোসলে নেমে নিখোঁজ হয়। স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরির তল্লাশী নিষ্ফল হলেও পরদিন সকালে পটের নিচ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
১৫ জুলাই: একই এলাকার প্রতিবেশী নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে পানিতে ডুবে মারা যান ৭০ বছর বয়সী সাবেক সেনা সদস্য মধুসূদন (মধু)। বাড়ির পাশে মাছ ধরার সময় তিনি পানির নিচে চলে যান। পরিবারের সহায়তায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে যশোর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
১৪ জুলাই: ঝিনাইদহের কালিগঞ্জ উপজেলার বারোবাজারে ৮ বছর বয়সী নাইম হোসেন ব্রিজ থেকে গাঙ্গে লাফ দিয়ে নিখোঁজ হয়। দুই দিনের তল্লাশী কার্যক্রমেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা বলছেন নদীতে প্রচুর পট থাকার কারণে উদ্ধারকাজ কঠিন হয়েছে।
স্থানীয়রা বলেন, বৃষ্টির শুরুতেই পানিতে ডুবে মৃত্যুর ঘটনা বাড়ছে, যা দুঃখজনক ও ভয়াবহ। নিখোঁজ ও মৃত পরিবারগুলোতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। কর্তৃপক্ষ দ্রুত সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।







