Friday, December 5, 2025

ইসরায়েলের হামলায় একদিনেই নিহত আরও ৭৪ ফিলিস্তিনি

অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলের হামলায় একদিনেই নিহত হয়েছেন আরও অন্তত ৭৪ ফিলিস্তিনি। নিহতদের মধ্যে ৮ জন ছিলেন খাদ্য সহায়তার জন্য লাইনে দাঁড়ানো অবস্থায়।

অপরদিকে, চলমান যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ সংগঠন হামাস জানিয়েছে, তারা ১০ জন ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দিতে সম্মত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

আল জাজিরা বলছে, ইসরায়েলি আগ্রাসন অব্যাহত থাকলেও হামাস যুদ্ধবিরতির আলোচনায় নমনীয়তা দেখাচ্ছে। সংগঠনটির জ্যেষ্ঠ নেতা তাহের আল-নুনু জানান, তারা সর্বশেষ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব গ্রহণ করেছে এবং জনগণের সুরক্ষা ও সম্মানজনকভাবে ত্রাণ প্রবাহ নিশ্চিত করতে চায়।

তবে হামাস সতর্ক করেছে, যুদ্ধবির্তির আলোচনা এখনো “কঠিন” পর্যায়ে রয়েছে, কারণ ইসরায়েল তাদের একগুঁয়ে অবস্থান থেকে সরে আসছে না। আলোচনায় মধ্যস্থতা করছে কাতার ও যুক্তরাষ্ট্র।

হামাসের শর্ত অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায়ে ইসরায়েলি বাহিনী যেন এমন এলাকায় অবস্থান নেয় যা ফিলিস্তিনিদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় বাধা সৃষ্টি না করে।

ওয়াশিংটনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, গাজা নিয়ে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি হওয়ার “ভালো সম্ভাবনা” রয়েছে। তবে সেটা এই সপ্তাহে বা আগামী সপ্তাহে হতে পারে, এখনই কিছু নিশ্চিত নয়।

ইসরায়েলি সেনাপ্রধান এয়াল জামির জানিয়েছেন, ১০ জন জীবিত বন্দি ও ৯ জনের মরদেহ হস্তান্তরের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

তবে এরই মধ্যে গাজার বিভিন্ন এলাকায় ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত রয়েছে। বুধবারের হামলায় নিহতদের মধ্যে ৮ জন গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) খাদ্য সহায়তা বিতরণ কেন্দ্রে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সহায়তা কেন্দ্রগুলোতে নিহতের সংখ্যা ইতোমধ্যেই ৭৭০ ছাড়িয়েছে। আর ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা প্রায় ৫৭ হাজার ৬০০ জনে পৌঁছেছে।

আল জাজিরার ভাষ্যমতে, মানুষ এখন খাবারের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে গুলিতে মরছে। এই বাস্তবতা যেন নিত্যদিনের বিভীষিকায় পরিণত হয়েছে।

গাজার দক্ষিণাঞ্চলের নাসের হাসপাতাল জানিয়েছে, তারা জ্বালানি সংকটে মারাত্মক সঙ্কটে রয়েছে। এক বিবৃতিতে বলা হয়, জ্বালানি প্রায় শেষ, চিকিৎসকেরা তীব্র গরম, ক্লান্তি ও ক্ষুধার মধ্যেও নিরন্তর লড়ে যাচ্ছেন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, ২০২৩ সালে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে গাজায় ৬০০টিরও বেশি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে হামলা হয়েছে। বর্তমানে ৩৬টি সাধারণ হাসপাতালের মধ্যে মাত্র ১৮টি আংশিকভাবে চালু রয়েছে।

অনলাইন ডেস্ক/আর কে-০২

আরো পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

এই বিভাগের আরো খবর