পরকীয়ার জের হিসেবে বেনাপোল দূর্গাপুরের এনজিও কর্মী আল আমিন হোসেন নয়ন খুন হয়েছেন। একই গ্রামের দম্পতি তারই বাড়ির সামনে গলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত ওই দম্পতিকে আটক করেছে যশোর জেলা গোয়েন্দা শাখা ডিবি।
এরা হচ্ছে, একই গ্রামের জহর আলী ও তার স্ত্রী কামরুন্নাহার কুটিলা। এ ব্যাপারে ৩১ ডিসেম্বর ডিবির সাফল্য তুলে ধরে প্রেসব্রিফিং করেছেন যশোরের এসপি মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন।গত ২৮ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১২ টায় দূর্গাপুরের মৃত মিজানুর রহমানের ছেলে আল আমিন নয়নকে বাড়ি থেকে ডেকে তারই বাড়ির পাশের নির্মাণাধীন পাকা বাড়ির পাশে শ^াসরোধে হত্যা করে অজ্ঞাতরা। এ ঘটনায় নিহতের চাচা মুনতাজ আলী থানায় মামলা করেন, যার নাম্বার ৪০। হত্যাকান্ডটি ক্লুলেস হওয়ায় পুলিশ সুপার মামলাটি তদন্তের জন্য জেলা গেয়েন্দা শাখা ডিবিকে নির্দেশনা দেন।
গোয়েন্দা শাখার ওসি সোমেন দাসের নেতৃত্বে এসআই মফিজুল ইসলাম পিপিএম, শামীম হোসেন, এসআই নুর ইসলামসহ বেনাপোল পোর্ট থানার কয়েক অফিসার আটক ও তদন্ত অভিযান শুরু করেন। ৩০ ডিসেম্বর মধ্যরাতে আটক করা হয় দূর্গাপুরের মৃত লোকমান মির্জার ছেলে জহর আলী ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী কামরুন্নাহার কুটিলাকে।
পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যার দ্বায় স্বীকার করেছে। আটককৃতরা জানিয়েছেন, কামরুন্নাহার কুটিলার সাথে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন আল আমিন নয়ন। তাদের মধ্যে অনৈতিক দৈহিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে কুটিলাকে স্বামী জহর আলী জানান, সে কার সাথে থাকতে চায়। এসময় কুটিলা ওই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চায় এবং জানায় স্বামীর সাথেই থাকবে। এসময় জহর আলী ও স্ত্রী কুটিলা ও পরকীয়া প্রেমিক আল আমিন নয়নকে হত্যার পরিকল্পনা করে। ঘটনার দিন রাতে জানালা দিয়ে কুটিলা ডাক দেয় আল আমিনকে। পরে স্বামী স্ত্রী মিলে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে আল আমিনকে।
আটকের সময় জহর আলী ও কুটিলার দখল থেকে হত্যায় ব্যবহৃত রশি, রশি পুড়ানো কড়াই, ভুক্তভোগী আল আমিন ও আসামির ব্যবহৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়। আটক ওই দম্পতি গতকাল জুডশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মামুন উর রহমানের আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। ব্রিফিংয়ে আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অপরাধ সালাউদ্দিন সিকদার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ডিএসবি তৌহিদুল ইসলাম,ওসি ডিবি সোমেন দাসসহ প্রমূখ।
রাতদিন সংবাদ







