বাংলাদেশ ক্রিকেটে আবারও নেতৃত্বে বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত মিলেছে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চলমান দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শেষেই টেস্ট অধিনায়কত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন নাজমুল হোসেন শান্ত। গলে ধারাবাহিকভাবে দুটি সেঞ্চুরি করলেও সাম্প্রতিক কিছু ঘটনায় মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন এই বাঁহাতি ব্যাটার।
বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে, শান্ত ইতোমধ্যে সিদ্ধান্ত অনেকটাই চূড়ান্ত করে ফেলেছেন। এখন কেবল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) আনুষ্ঠানিকভাবে জানানোর অপেক্ষা। শান্তর এক ঘনিষ্ঠজন ক্রিকবাজকে বলেন, ‘আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি না, তবে আমার বিশ্বাস, শ্রীলঙ্কা সিরিজের পর সে আর টেস্ট অধিনায়ক থাকবে না। সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা তাকে খুব অস্বস্তিতে ফেলেছে।’
গত বছর টেস্ট ও ওয়ানডে দলের নেতৃত্ব পেয়ে টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব নিজেই ছেড়ে দিয়েছিলেন শান্ত, ব্যাটিংয়ে মনোযোগ বাড়ানোর লক্ষ্যে। কিন্তু চলতি মাসের ১২ তারিখে বিসিবির এক জরুরি সভায় কোনো পূর্বপ্রস্তুতি ছাড়াই তাকে ওয়ানডে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দিয়ে নতুন অধিনায়ক হিসেবে ঘোষণা করা হয় মেহেদী হাসান মিরাজকে।
সূত্র বলছে, এ সিদ্ধান্ত শান্তর জন্য ছিল সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত। ওইদিনই জাতীয় দলের প্রধান কোচ ফিল সিমন্সের সঙ্গে ওয়ানডে সিরিজ নিয়ে বৈঠকের কথা ছিল শান্তর। তবে বোর্ডের সিদ্ধান্ত জানার পর সেই বৈঠকে আর অংশ নেননি তিনি এবং বিসিবি কার্যালয় থেকে ফিরে যান।
বোর্ডের দাবি, শান্ত এই সিদ্ধান্ত খেলোয়াড়সুলভভাবে গ্রহণ করেছেন। বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ‘শান্তর অধিনায়কত্ব কেড়ে নেওয়া হয়নি। এটা ছিল বোর্ডের সমন্বিত সিদ্ধান্ত। আমরা প্রতিটি ফরম্যাটে ভিন্ন অধিনায়ক চাই—এটাই মূল উদ্দেশ্য।’
তবে অভ্যন্তরীণ সূত্র বলছে ভিন্ন কথা। জানা গেছে, শান্তর মানসিক অবস্থা ইতোমধ্যে নেতিবাচকের দিকে গেছে। ওয়ানডে নেতৃত্ব থেকে আকস্মিক এবং অপমানজনকভাবে সরিয়ে দেওয়ার প্রতিক্রিয়ায়ই তিনি টেস্ট নেতৃত্ব থেকেও সরে দাঁড়ানোর কথা ভাবছেন।
যদি শান্ত সত্যিই টেস্ট দলের দায়িত্ব ছেড়ে দেন, তা হবে বাংলাদেশের ক্রিকেটে নেতৃত্ব কাঠামোয় বড় এক পরিবর্তন। এই সিদ্ধান্ত ক্রিকেটারদের মানসিক স্বাস্থ্য, বোর্ডের সঙ্গে সম্পর্ক এবং নেতৃত্ব বাছাইয়ের স্বচ্ছতা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলবে। সেই সঙ্গে আগামী টেস্ট অধিনায়ক কে হবেন—তাও হয়ে উঠবে আলোচনার বিষয়।
অনলাইন ডেস্ক







