চতুর্থবারের মতো ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে খেলছেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসি। আগের তিনবার বার্সেলোনার জার্সিতে চ্যাম্পিয়ন হলেও এবার তার ক্লাব ইন্টার মায়ামি। তবে এবার ফরম্যাট ভিন্ন—প্রথমবারের মতো ৭ দলের পরিবর্তে ৩২ দলের অংশগ্রহণে হচ্ছে ক্লাব বিশ্বকাপ। এই ব্যতিক্রমী আসরে দ্বিতীয় ম্যাচেই ইতিহাস গড়লেন এলএমটেন।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টার মার্সিডিজ বেঞ্জ স্টেডিয়ামে পর্তুগিজ ক্লাব পোর্তোকে ২-১ গোলে হারায় ইন্টার মায়ামি। এটি ক্লাব বিশ্বকাপ ইতিহাসে ফ্লোরিডাভিত্তিক এই ক্লাবের প্রথম জয়। জয় নির্ধারণী গোলটি করেন লিওনেল মেসি, একটি বাঁ পায়ের জাদুকরী ফ্রি-কিকে। তার এই গোলটি শুধু ম্যাচই জেতায়নি, নাম লিখিয়েছে একাধিক রেকর্ডবুকেও।
এই গোলের মাধ্যমে ফিফার সব ধরনের আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট মিলিয়ে মেসির গোল হলো ২৫টি। এতদিন এ রেকর্ড যৌথভাবে ছিল ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি মার্তা ও মেসির দখলে—২৪টি করে গোল। এবার এককভাবে শীর্ষে উঠে এলেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। ২০০৫ সালে যুব বিশ্বকাপে নিজের প্রথম ফিফা গোল করেছিলেন মেসি। তখন বয়স ছিল ১৮। ২০ বছর পর, ৩৭ বছর বয়সে এসে পেলেন ফিফা ইভেন্টে সর্বোচ্চ গোলদাতার মুকুট।
নারী ফুটবলের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ফিফা গোল রয়েছে মার্তার দখলে, যদিও যৌথ সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড এবার হারালেন তিনি। তবে পুরুষ ফুটবলে মেসির পরের অবস্থানে আছেন রোনালদিনিয়ো ও রোনালদো (১৯টি করে), এবং ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ও লুইস সুয়ারেজ (১৭টি করে)।
এছাড়া পেশাদার ক্যারিয়ারে ফ্রি-কিক থেকে মেসির এটি ছিল ৬৮তম গোল। এই তালিকায় তার ওপরে আছেন কেবল ব্রাজিলিয়ান দুই কিংবদন্তি—জুনিনহো পার্নামবুকানো (৭৭) এবং পেলে (৭০)।
আরেকটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক হলো—ইন্টার মায়ামির হয়ে ৬১ ম্যাচে মেসির গোল হলো ৫০টি। আর ক্লাব বিশ্বকাপে এটি তার ৭ ম্যাচে ষষ্ঠ গোল।
অনলাইন ডেস্ক







