Saturday, December 6, 2025

লস অ্যাঞ্জেলেসে উত্তাল বিক্ষোভ: ৭শ মেরিন সেনা পাঠানোর নির্দেশ ট্রাম্পের

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার গুরুত্বপূর্ণ শহর লস অ্যাঞ্জেলেসে শান্তি ফিরিয়ে আনতে আরও ২ হাজার ন্যাশনাল গার্ড এবং ৭শ মেরিন সেনা সদস্য মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।

ট্রাম্প গত ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পরই অবৈধ অভিবাসন উচ্ছেদ ও নথিবিহীন অভিবাসীদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন। এর পর থেকেই পুলিশ ও যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) যৌথভাবে দেশজুড়ে অভিযান শুরু করে। গত ছয় মাসে এসব অভিযানে শত শত অভিবাসীকে আটক করে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

নথিবিহীন অভিবাসীর সংখ্যা বেশি এমন অঙ্গরাজ্যগুলোতে পৃথক ডিটেনশন সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে এখনও হাজার হাজার অভিবাসী আটক আছেন।

প্রশান্ত মহাসাগর উপকূলে অবস্থিত ক্যালিফোর্নিয়ার বিভিন্ন শহরে বিপুল সংখ্যক নথিবিহীন অভিবাসী অবস্থান করছেন। অধিকাংশই এসেছেন মেক্সিকো এবং দক্ষিণ আমেরিকার বিভিন্ন দেশ থেকে। তারা মূলত শহরতলির এলাকাগুলোতে বসবাস করেন।

গত ৬ জুন শুক্রবার লস অ্যাঞ্জেলেসের শহরতলির প্যারামাউন্ট এলাকায় এক অভিযানে নেমে পুলিশের সঙ্গে আইসিই সদস্যরা তীব্র প্রতিরোধের মুখে পড়েন। বিক্ষুব্ধ বাসিন্দারা ইট-পাটকেল, বোতল এবং পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করেন।

পরদিন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ২ হাজার ন্যাশনাল গার্ড সদস্য মোতায়েনের নির্দেশ দেন প্রেসিডেন্ট। কিন্তু উত্তেজনা প্রশমনের বদলে সংঘাত আরও ছড়িয়ে পড়ে।

এই পরিস্থিতিতে সোমবার আরও ২ হাজার ন্যাশনাল গার্ড এবং ৭০০ মেরিন সেনা সদস্য পাঠানোর ঘোষণা দেন ট্রাম্প।

এখন পর্যন্ত লস অ্যাঞ্জেলেসে চার দিন ধরে বিক্ষোভ চলেছে। পরিস্থিতি ছড়িয়ে পড়েছে নিউইয়র্ক সিটি, ফিলাডেলফিয়া এবং সান ফ্রান্সিসকোতেও।

বিক্ষোভ জোরালো হলেও এখন পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলার খবর পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, কয়েক ডজন বিক্ষোভকারী গ্রেপ্তার হয়েছেন। এছাড়া পুলিশের ও বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের বেশ কিছু গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।

রয়টার্সকে দেওয়া এক বিবৃতিতে ৪২ বছর বয়সী মারজিতা কেরেটা বলেন, “এখানে যা হচ্ছে, তার প্রভাব সব মার্কিনিদের ওপর পড়ছে। কারণ এদেশের অধিকাংশ মানুষ মুক্ত ও শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে চায়।” কেরেটার মা মেক্সিকো ও বাবা হন্ডুরাস থেকে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া প্রথম প্রজন্মের নাগরিক।

অনলাইন ডেস্ক

আরো পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

এই বিভাগের আরো খবর