আসন্ন ঈদুল আজহায় কুরবানির বিধান নিয়ে মুসলমানদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে আলেমরা মনে করিয়ে দিচ্ছেন—‘নিসাব’ পরিমাণ সম্পদের মালিক হলে কুরবানি করা প্রতিটি প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থ মস্তিষ্কসম্পন্ন মুসলমানের জন্য ওয়াজিব।
ইসলামি বিধান অনুযায়ী, কারও কাছে সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণ, সাড়ে বায়ান্ন ভরি রূপা অথবা এর সমমূল্যের নগদ অর্থ বা সম্পদ থাকলে তিনি কুরবানির উপযুক্ত এবং তার জন্য কুরবানি করা আবশ্যক।
পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে, ‘আল্লাহর কাছে পশুর গোশত বা রক্ত পৌঁছে না, বরং তাঁর কাছে পৌঁছে তোমাদের তাকওয়া।’ (সুরা হজ, আয়াত: ৩৭)
একাধিক হাদিসে কুরবানির গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে। আবু দাউদের বর্ণনায় রয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “প্রত্যেক গৃহবাসীর প্রতি বছর কুরবানি করা ওয়াজিব।”
একটি কুরবানির পশু হিসেবে ছাগল, ভেড়া বা দুম্বা কুরবানি করা যায়, আর গরু, মহিষ বা উট সাতজন শরিক মিলে কুরবানি করতে পারেন। হাদিসে রয়েছে, হুদায়বিয়ায় রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে সাহাবিরা সাতজন মিলে একটি গরু বা উট কুরবানি করেছিলেন।
কুরবানির পশু সুস্থ ও নির্দিষ্ট বয়সের হতে হবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজ হাতে বিশেষ চিহ্নযুক্ত একটি দুম্বা কুরবানি করেছিলেন এবং বিশেষ দোয়া পাঠ করেছিলেন—
“বিসমিল্লাহি, আল্লাহুম্মা তাকাব্বাল মিন মুহাম্মাদ, ওয়া আলে মুহাম্মাদ, ওয়া মিন উম্মাতি মুহাম্মাদ।”
অর্থাৎ: “আমি আল্লাহর নামে শুরু করছি। হে আল্লাহ! আপনি মুহাম্মাদ, তাঁর পরিবার ও উম্মতের পক্ষ থেকে এই কুরবানি কবুল করুন।”
এ ছাড়া হাদিসে বলা হয়েছে, কুরবানি করতে ইচ্ছুক ব্যক্তি যেন জিলহজ মাসের প্রথম দশ দিনে চুল ও নখ না কাটেন। (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৪৯৫৫)







