যশোরে ‘টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জন এবং নৈতিক শিক্ষার প্রসারে মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের ভূমিকা’ শীর্ষক একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৪ মে) দুপুরে জেলা প্রশাসন ও মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম জেলা কার্যালয়ের আয়োজনে পিটিআই অডিটোরিয়ামে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
কর্মশালার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যশোরের জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ বিশ্বে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির একটি অনন্য মডেল। আমাদের দেশে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল নাগরিকের সমান অধিকার রয়েছে। জাতি হিসেবে আমাদের প্রতিটি অর্জনে সকল ধর্মের মানুষের সম্মিলিত অবদান রয়েছে।”
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, “নৈতিক শিক্ষার প্রসারে মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। শিশুদের মধ্যে শৈশব থেকেই শিষ্টাচার ও মূল্যবোধ গঠনে ধর্মীয় ও পারিবারিক শিক্ষা অপরিহার্য।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি সমীর কুমার বসু। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার রওনক জাহান, জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেরুল হক সাবু, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন, প্রেস ক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য খালিদ সাইফুল্লাহ এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোরের আহ্বায়ক রাশেদ খান।
কর্মশালাটি সঞ্চালনা করেন মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম যশোরের সহকারী প্রকল্প পরিচালক চৈতি মহলদার। কর্মশালায় মন্দিরভিত্তিক স্কুলের শিক্ষক, অভিভাবক এবং মন্দির কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ প্রায় ১৫০ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশ নেন।
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন সুপারিশ উপস্থাপন করেন, যা ‘মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম-ষষ্ঠ পর্যায়’ প্রকল্পের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে মত প্রকাশ করেন আলোচকরা।