বাঘারপাড়া প্রতিনিধি: যশোরের বাঘারপাড়ার নারিকেলবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নিয়মবহির্ভূত অর্থ আদায় করা হচ্ছে অভিযোগের পক্ষে-বিপক্ষে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দু’পক্ষ মানববন্ধন করেছে।এ নিয়ে এলকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
রোববার দুপুরে পাল্টাপাল্টি এ কর্মসূচি পালন করা হয়।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নারিকেলবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে করোনাকালীন সময়ে বেতন ও মৌসুমী ফি আদায় করছে স্কুল কর্তৃপক্ষ-এমন অভিযোগ এনে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্কুল পরিচালনা পরিষদের সভাপতি বাবলু সাহার লোকজন রোববার দুপুরে স্কুলের সামনে বাজারের মধ্যে মানববন্ধন করেন। এ সময় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্কুলের প্রধান শিক্ষক এমদাদ হোসেনের লোকজন ঘটনাস্থলে জড়ো হয়ে মুখোমুখি অবস্থান নেন।এক পর্যায়ে প্রধান শিক্ষক এমদাদ হোসেনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে একই স্থানে পাল্টা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।এদিকে অস্টম শ্রেণির ছাত্র পারভেজ হোসেনের বাবা নান্নু মুনসী মানববন্ধনে দাঁড়িয়ে অভিযোগ করেন তার ছেলের কাছ থেকে বেতন ও মৌসুমী ফি বাবদ এক হাজার দুশ’ ৪২ টাকা আদায় করা হয়েছে। একই অভিযোগ করে অস্টম শ্রেণির ছাত্রী মহসীনা আক্তার মেঘলার বাবা মোহন বিশ্বাস বলেন, তার মেয়ের কাছ থেকে মৌসুমী ফি বাবদ চারশ’ ৪৬ টাকা নেয়া হয়েছে। এমন অভিযোগ করেন আরও কয়েকজন।তবে এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে স্কুলের প্রধান শিক্ষক এমদাদ হোসেন বলেন, সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেয়া হচ্ছে। ১২ থেকে ১৩ জনের কাছ থেকে ভুল করে টাকা নেয়া হয়েছে। বিষয়টি জানার পর তাদের টাকা ফেরত দেয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি বাবলু সাহার নির্দেশে তার বিরুদ্ধে কুৎসা রটানো হচ্ছে। তাকে বারবার পরিচালনা কমিটির সভা ডাকার কথা বলা হলেও তিনি গুরুত্ব দেন না। যে কারণে পরিচালনা কমিটির ১১ সদস্যের মধ্যে দু’-তিনজন বাদে সবাই তার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। এখন রাজনীতি ঢুকিয়ে স্কুলটিকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করছেন বাবলু সাহা।স্কুল পরিচালনা পরিষদের সভাপতি বাবলু সাহা বলেন, ‘সতর্ক করার পরও সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে প্রধান শিক্ষক এমদাদ হোসেন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করছেন। এটার প্রতিবাদ করেছেন অভিভাবকরা। নিজের ইচ্ছামতো স্কুল পরিচালনা করছেন তিনি। আমি স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি। আমার সাথে পরামর্শ না করেই সব সিদ্ধান্ত নেন প্রধান শিক্ষক।







