Sunday, April 27, 2025

নরেন্দ্রপুরে হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে বিএনপি নেতারা: দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি

যশোর সদর উপজেলার নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নের রূপদিয়া ভাসানপাড়ায় সন্ত্রাসী হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ১৪টি পরিবার পরিদর্শন করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত এবং যশোর জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু। এসময় তারা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন এবং পরিস্থিতির খোঁজখবর নেন।

পরিদর্শনের সময় বিএনপির নেতৃবৃন্দ জানান, এই বর্বরোচিত হামলা শুধু ব্যক্তি বা পরিবার নয়, গোটা সমাজকে আঘাত করেছে। এতে মুহূর্তেই ১৪টি পরিবারের ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের শিকার হয়। এখন তারা খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, “এই ন্যাক্কারজনক হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। যে বা যারাই এই বর্বর হামলার সঙ্গে জড়িত থাকুক, তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বা রাজনৈতিক পরিচয়ের আড়ালে তারা যেন লুকাতে না পারে, সে ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।”ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো অভিযোগ করেছে, একটি রাজনৈতিক দলের কর্মীরাই এই হামলা চালিয়েছে। তারা জামায়াতে ইসলামের নাম উল্লেখ করেছে। আমরা বিশ্বাস করি, কোনো রাজনৈতিক দল এ ধরনের বর্বর হামলার পৃষ্ঠপোষক হতে পারে না। যারা এই তাণ্ডব চালিয়েছে, তারা সমাজের শত্রু, তারা দুর্বৃত্ত। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আমরা আহ্বান জানাই, তাদের যথাযথভাবে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনুন।

তিনি আরও বলেন, “যদি কোনো রাজনৈতিক দল এই ধরনের সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়, বিএনপি রাজনৈতিকভাবে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। কারণ আমরা মানুষের রাজনীতি করি, ভয়ের রাজনীতি নয়।” অমিত বলেন, “বিএনপি সবসময় সাধারণ মানুষের পাশে ছিল এবং আছে। এই ঘটনায় আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ের নেতাদের ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে বলেছিলাম। আজ আমরা এখানে এসেছি সেই ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে। আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান যে আদর্শে রাজনীতি করতেন, আমরা সেই আদর্শে মানুষের জন্য কাজ করি।

জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু বলেন, “যেভাবে বাড়িঘর ভেঙে তছনছ করা হয়েছে, তা কোনো সভ্য সমাজে কল্পনাও করা যায় না। এ যেন ৭১-এর বিভীষিকা ফিরে এসেছিলো আরেক রূপে।”

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা বিএনপি, নরেন্দ্রপুর, কচুয়া ও বসুন্দিয়া ইউনিয়ন বিএনপির নেতারা। তারা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসীর পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দেন এবং প্রয়োজনীয় সহায়তার ঘোষণা দেন। ক্ষতিগ্রস্তরা দ্রুত পুনর্বাসন ও বিচার চেয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।

আরো পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

এই বিভাগের আরো খবর