২০২১ সালে তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা নেওয়ার পর থেকেই নারীদের ক্রিকেট নিষিদ্ধ হয়েছে। তবে পুরুষ দল এখনও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করছে। নারীদের জন্য খেলাধুলায় বিধিনিষেধ থাকায় আফগান পুরুষ ক্রিকেট দল আন্তর্জাতিকভাবে চাপের মুখে পড়েছে, বিভিন্ন দেশ থেকে মোহাম্মদ নবি ও রশিদ খানের বয়কটের ডাক এসেছে।
এবার, মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সদস্যপদ স্থগিত করার জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)-কে একটি চিঠি পাঠিয়েছে। সংস্থাটি আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহর কাছে শুক্রবার পাঠানো চিঠিতে বলেছে, “আমরা আফগানিস্তানকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ থেকে নিষিদ্ধ করার জন্য আইসিসিকে অনুরোধ করছি, যতক্ষণ না নারী ও মেয়ে শিশুরা দেশে শিক্ষা এবং খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করতে পারে।”
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ আরও উল্লেখ করেছে যে, ২০২৮ সালে লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিকে ক্রিকেট অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তালেবান নারীদের খেলাধুলায় অংশগ্রহণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে অলিম্পিক সনদ ভঙ্গ করছে। “আলিম্পিকের চার্টার অনুযায়ী, খেলাধুলায় অংশগ্রহণ প্রতিটি মানুষের অধিকার। তালেবান নারীদের খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত করেছে, যা অলিম্পিক নীতির পরিপন্থি।”
এখন আফগান নারী দলের বেশিরভাগ সদস্য অস্ট্রেলিয়ায় শরণার্থী হিসেবে অবস্থান করছেন এবং সম্প্রতি তারা একটি প্রীতি ম্যাচ খেলেছে। আফগান পুরুষ দলকে আর্থিক ও লজিস্টিক সহায়তা দেয়া হলেও, নারীদের দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে না। এর আগেও, ১৯৯৯ সালে তালেবানের পূর্ববর্তী শাসনামলে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি আফগানিস্তানের জাতীয় অলিম্পিক কমিটিকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত স্থগিত করেছিল, কারণ তখনও নারীদের খেলাধুলায় বাধা দেয়া হচ্ছিল।
অনলাইন ডেস্ক