গ্রেপ্তারকৃত হেদায়েত কোরাইশ মাগুরা পৌরসভার পারনান্দুয়ালী এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে। তিনি যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং দুটি হত্যা মামলার ৯ নম্বর আসামি। এর আগে, গত জানুয়ারি মাসে এই মামলার ১১ নম্বর আসামি ছাত্রলীগের মাগুরা জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিব শিকদারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট মাগুরা শহরের ঢাকা রোড পারনান্দুয়ালী ব্রিজের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন মেহেদী হাসান রাব্বী ও ফরহাদ হোসেন। ১৩ আগস্ট রাব্বীর ভাই ইউনুস আলী বাদী হয়ে মাগুরা সদর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় আওয়ামী লীগের সাবেক দুই সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর ও বীরেন শিকদারসহ ১৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়, পাশাপাশি অজ্ঞাতনামা ১৫০ থেকে ২০০ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মাগুরা জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) উপপরিদর্শক (এসআই) কাজী এহসানুল হক জানান, গ্রেপ্তারকৃত হেদায়েত কোরাইশ ঘটনার পরপরই আত্মগোপনে চলে যান। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার ঢাকার হাতিরঝিল এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ফরহাদ হোসেনের পরিবার কোনো মামলা না করলেও ২১ আগস্ট সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন মো. জামাল হোসেন। এতে সাবেক সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর ও বীরেন শিকদারসহ ৬৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।
আর কে-০৪







