যশোর শহরতলীর হামিদপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত তুফানের অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে। হাসপাতালে তিনি মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। অপরদিকে হামলাকারীরা উল্টে তুফান ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে থানায় বাড়িতে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগে মামলা করেছে। যা আদৌও সত্য নয় দাবি ভুক্তভোগী পরিবারের। এদিকে, এ বিষয়ে স্থানীয়দের একটি পক্ষ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, গত ৩ মার্চ হামিদপুর গ্রামের টনি, খোকন, জনিসহ সাত জন তুফানকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে। এ সময় বাধাদিতে আসলে হামলাকারীদের হাতে বিদ্যুৎ ও জুম্মান নামে অপর দুই যুবক আহত হন। সম্পর্কে তারা তুফাতের চাচাত ভাই। এ ঘটনায় আহতদের চাচা স্থানীয় ইউপি সদস্য আকরাম হোসেন বাদী কোতোয়ালি থানায় মামলাও করেন । শুধুই তাই না, বনি ও তুহিন নামে দু’আসামীকেও আটক করে পুুলিশ। এদিকে, এ ঘটনার পরের দিন এ মামলার প্রধান আসামী জনির স্ত্রী তহমিনা খাতুন কোতোয়ালি থানায় পাল্টা মামলা করেন। এ বিষযে হতবাক হয়েছেন গ্রামবাসী। তারা দাবি করছেন যে তুফান এখন মৃতুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন তাকে আসামি করা সমীচিন না।
আহত তুফাতের চাচাতো ভাই জুম্মান জানান, তার ভাইকে ৩ মার্চ হত্যা চেষ্টা করা হয়েছে। অথচ তারা মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে মিথ্যা মামলা করেছে। যা ষড়যন্ত্রমুলক বলে দাবি করেন জুম্মান। একই সাথে এ বিষয়ে প্রশাসনের সুষ্ট তদন্তও দাবি করেছেন তুফানের পরিবার।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ কাজী বাবুল বলেন, দুই পক্ষই জখম হয়েছেন। তারা পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দিয়েছেন। ফলে দুইটি মামলায় রেকর্ড করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তধীন।
রাতদিন সংবাদ