
শ্রীপুর উপজেলার লাঙ্গালবাঁধ এলাকার বাসিন্দা মো. সাকিব খান জানান, প্রতিদিন এলাকার শত শত মানুষ নদীতে গোসল, কাপড় ধোয়াসহ দৈনন্দিন বিভিন্ন কাজে পানি ব্যবহার করতেন। কিন্তু এখন কুমির আতঙ্কে কেউ নদীতে নামতে সাহস করছেন না।
গোয়ালদহ এলাকার বাসিন্দা বিকাশ বাছাড় বলেন, “গড়াই নদীতে কুমিরের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় কেউ আর নদীতে গোসল করতে বা গরু-ছাগল ধোয়াতে সাহস পাচ্ছে না। নদীতীরের মানুষের মধ্যে চরম উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।” এদিকে, জেলেরা সতর্কতার সঙ্গে মাছ ধরছেন।
গড়াই নদীটি পদ্মা নদীর সঙ্গে সংযুক্ত। তবে আগে কখনো এখানে কুমির দেখা যায়নি। স্থানীয়রা ধারণা করছেন, বর্ষার সময় যখন নদীর পানি বেশি ছিল, তখন হয়তো পদ্মা নদী থেকে কুমির এসেছে। এখন নদীর পানি কমে যাওয়ায় সেগুলোর উপস্থিতি প্রকাশ্যে আসছে।
শ্রীপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মীর মো. লিয়াকত আলী জানান, “আমি লাঙ্গালবাঁধ এলাকায় গড়াই নদীতে গিয়েছিলাম, তবে কুমির দেখতে পাইনি। তবে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে বুঝেছি, চারদিকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। সবাইকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।”
স্থানীয় বাসিন্দারা দ্রুত সরকারি উদ্যোগের দাবি জানিয়েছেন, যাতে কুমির আতঙ্কের অবসান ঘটে এবং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়। প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নেবে এমনটাই প্রত্যাশা এলাকাবাসীর।
আর কে-১০







