টানা ১০ মাস ধরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের ওপর থাকার পর, সর্বশেষ হিসাবে জানুয়ারি মাসে কিছুটা কমে দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৭২ শতাংশ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের মার্চ মাসের পর থেকে খাদ্য মূল্যস্ফীতি আর এক অঙ্কের ঘরে নামেনি, যা গরিব ও সীমিত আয়ের মানুষের ওপর দীর্ঘমেয়াদি চাপ সৃষ্টি করেছে।
বিবিএসের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, গত জানুয়ারিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশে নেমেছে, যা আগের মাসে ছিল ১০ দশমিক ৮৯ শতাংশ। তবে খাদ্য মূল্যস্ফীতি এখনো উদ্বেগজনক অবস্থায় রয়েছে।
বিবিএসের হিসাবে, গত জানুয়ারিতে খাদ্য মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৭২ শতাংশে, যা গত বছরের মার্চ মাসের পর সর্বনিম্ন। তবে টানা ১০ মাস ধরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের বেশি থাকায় সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান কঠিন হয়ে পড়েছে।
এদিকে, গত ছয় মাসে চাল, আলু, পেঁয়াজ, মাছ-মাংস, ডিম ইত্যাদির দাম বেড়েছে, যা গরিব ও সীমিত আয়ের মানুষের জন্য সংসার চালানো কঠিন করে তুলেছে।
বিবিএস এর তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারি মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশে নেমে আসার অর্থ হলো, ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে বিভিন্ন পণ্য ও সেবা কিনতে যদি ১০০ টাকা খরচ হতো, গত জানুয়ারিতে সেই খরচ বেড়ে ১০৯ টাকা ৯৪ পয়সায় দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে প্রতি ১০০ টাকায় খরচ বেড়েছে ৯ টাকা ৯৪ পয়সা।
অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকারকে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে, যাতে সাধারণ মানুষ কিছুটা স্বস্তি পেতে পারে।